ইকবাল আজিজ, টেকনাফ থেকে
টেকনাফের হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের পাহাড়ী এলাকার রইক্ষ্যং নতুন স্থাপিত অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় যমজ সন্তান প্রসব করেছেন এক রোহিঙ্গা প্রসুতী।
জানা যায়, মিয়ানমারের চলমান সহিংসতায় প্রসব বেদনা নিয়ে সদ্য পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মা জন্ম দিলেন যমজ শিশু। কিন্তু দুই নবজাতকের মধ্যে এক সন্তানকে বাঁচাতে পারেননি তিনি।
প্রসূতি নারী রেহেনা বেগম (২২) মংডুর রাচিদং এলাকার পেঠান আলীর স্ত্রী। তাঁরা দু’জন দুইদিন পূর্বে পালিয়ে নাফ নদী পার করে এপারে অনুপ্রবেশ করেন। প্রসব বেদনা তীব্র হওয়ায় তাঁদের ঠাঁই হয় টেকনাফ উপজেলার একমাত্র নতুন অস্থায়ী শরণার্থী শিবির হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকার রইক্ষ্যং। তাঁদের আরেকটি আড়াই বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। নাম তার আব্দুল হাফেজ।
৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এ ক্যাম্পের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অস্থায়ী মেডিকেল টিমের সহযোগিতায় রেহেনা বেগমের ডেলিভারি করানো হয়। ডাঃ রসু ও ডাঃ আরিফ, প্যারামেডিক রোজিনা, আশীষ, আনিস, চিত্রা, টুম্পা, রোজিনা আক্তার তাঁর ডেলিভারি কার্য সম্পাদন করেন। এতে সার্বিক পরিচালনা করেন কক্সবাজার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ইনচার্জ জোনাব আলী।
রেহেনা বেগম জানান, মিয়ানমারে হত্যা, ধর্ষণ, ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়ানোসহ নির্যাতনের মাত্রা সীমাহীন বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের অনাগত সন্তানকে বাঁচাতে এপারে চলে আসেন। কিন্তু আসার সময় রেহেনার প্রসব বেদনা বাড়তে থাকে। দুই দিন পরে বৃহস্পতিবার ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দুই ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। বিশ মিনিট পরে এক ছেলের সন্তানের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়।
গণস্বাস্থ্য থেকে নব জাতকের নাম রাখেন জয়। জোনাব আলী মারা যাওয়া নব জাতকটি স্বাভাবিক ছিলেন জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গারা এদেশে আসার পর থেকে রইক্ষ্যং অস্থায়ী ক্যাম্পে আমাদের চিকিৎসা টিম ও শুকনা খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। ইতিমেধ্য ২ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আরো ৭০ থেকে ৮০ জন সন্তান সম্ভাবা মাকে ফলোআপ করা হচ্ছে।