রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ত্রাণ বিক্রি করে এনজিও'র কিস্তি দিচ্ছেন বন্যাদুর্গতরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বন্যা দুর্গত এলাকাতেও থেমে নেই এনজিওগুলোর কিস্তি আদায়। বরং ঈদ উপলক্ষ্যে মাস শেষে আগেই তোলা হচ্ছে কিস্তি। ফলে দারুন বিপাকে পড়েছে বন্যাদুর্গত মানুষেরা। একে মরার উপর খড়ার ঘা বলছেন অনেকেই।

বৃহস্পতিবার ঈদের আগে শেষ অফিসের অজুহাতে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে গিয়ে কিস্তি নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। বন্যাদুর্গতরা যখন ত্রাণের আশায় বিত্তবানদের দারে দারে ঘুরছে তখন এনজিও কর্মীরা কিস্তির জন্য তাদেরকে চাপ দিচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলায় প্রায় ১০/১২টি বড় বড় এনজিও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করে আসছেন। এসব এনজিও থেকে প্রায় ২০ হাজার হতদরিদ্র পরিবার ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ করেন। পীরগাছা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটি ইউনিয়নকে বন্যা কবলিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষেরা বাড়ি ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। অনেকে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ধারকর্জ করে যখন মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছে ঠিক সে সময়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে ঋণের কিস্তির টাকার চাপ। এনজিও'র কর্মীরা প্রকাশ্যে চাপ সৃষ্টি করে কিস্তির টাকা আদায় করে আসছেন। এনজিওগুলোর মাঠ কর্মীরা এনজিও'র নিয়ম মেনে না চলায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে ঋণ গ্রহীতারা নিরুপায় হয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধের শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে ত্রাণসামগ্রী বিক্রি করে কিস্তির টাকা পরিশোধ করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

সরকারিভাবে ঋণের কিস্তি না নেয়ার ঘোষণা আসলেও তা কর্ণপাত করছে না এনজিও'র স্থানীয় শাখা গুলো। উপজেলার কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাইফুল ইসলাম খান ইকরাল জানান, প্রধানমন্ত্রী এনজিওগুলোকে কিস্তি না নেয়ার জন্য আহ্বান জানালেও তারা প্রকাশ্যে কিস্তি আদায় করে আসছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।

কাবার গিলাফ সম্পর্কে অজানা কয়েকটি তথ্য


সম্পর্কিত খবর