ওমর ফারুক আজাদ: ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তরজেলার উদ্যোগে ২৬তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী ছাত্র সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য র্যালি সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার বাদ জুমা হাটহাজারী ডাক বাংলো চত্বরে র্যালি পূর্বক এ ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের উত্তরজেলা সভাপতি ছাত্রনেতা মোরশেদ কারিমীর সভাপতিত্বে ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম উত্তরজেলা সভাপতি জননেতা মাওলানা আতিক উল্লাহ বাবুনগরী।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ইশা ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্টার পর হতে নিয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে। সেই সাথে দেশের স্বাধিনতা- সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী তাহজিব তামাদ্দুন রক্ষার জন্যেও তারা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে আসছে। সুখি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিপ্লবের কাজ করতে গিয়ে ইশা ছাত্র আন্দোলন বিভিন্ন সময়ে রক্ত-জীবন ও ঘাম দিয়ে জাতির কাছে আস্থার পরিক্ষা দিয়েছে। সেই জন্যেই প্রতিষ্টার পঁচিশ বছরের মাথায় সারা দেশের সকল জেলা, থানা, ইউনয়নে সংগঠনের বিস্তারসহ একমাত্র ত্রীধারার শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের সংগঠন হিসেবে সু-খ্যাতি অর্জন করেছে।
বক্তারা আরো বলেন, ছাত্র সংগঠন দেশের প্রাণশক্তি কিন্তু আজকে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ছাত্রদের নিজেদের হীন স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তোলে দেয়াসহ চারিত্রিক বিপর্যয় ডেকে আনছে। তাই ছাত্রদের চারিত্রিক ও নৈতিক উন্নতিপূর্বক মেধার উন্নয়নের জন্য ইসলামী আদর্শভিত্তিক ছাত্র সংগঠনের বিকল্প নাই।
এসময় বক্তারা ছাত্র সমাজকে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের পতাকাতলে এসে ইসলামী বিপ্লবের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে পীর সাহেব চরমোনাই'র হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান।
সমাবেশে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম উত্তরজেলার সহ সভাপতি মতিউল্লাহ নূরী, ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তরের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক এম ওমর ফারুক আজাদ, উত্তরজেলা ছাত্র আন্দোলন সহ সভাপতি এমদাদ উল্লাহ চৌধুরী, কলেজ বিষয়ক সম্পাদক তানভির মাহতাব, প্রচার সম্পাদক আবু সায়েম, ফটিকছড়ি উপজেলা আহবায়ক মুহাম্মদ ইসহাক, সদস্য সচিব হাবিব উল্লাহ,দাতমারা ইউনিয়ন শাখা সভাপতি নাছির উদ্দিন, হোসাইন আহমাদ, আব্দুল আলী কারিমী, ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে ছাত্রনেতা মোরশেদ কারিমীর নেতৃত্বে এক বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি হাটহাজারী ডাকবাংলো থেকে শুরু করে গহিরা হয়ে কাচারি রোডসহ চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে প্রধান অতিথির দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে র্যালির সমাপ্তি ঘোষণা হয়।