নারায়ণগঞ্জে তিন দিনের তাবলীগ শেষেই বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ নিয়ে কুড়িগ্রামে গেলেন অনন্ত জলিল। বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামে তিনি বন্যা দুর্গতদের মাঝে নিজ খরচে ত্রাণ বিতরণ করেন।
দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে কুড়িগ্রামের চিলমারিতে পৌঁছান অনন্ত। সেখানে তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ২৪’শ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এসব পরিবারের মধ্যে রয়েছে চিলমারির থানাহাট ইউনিয়নের ১১’শ পরিবার, রমনা ইউনিয়নের ৮’শ পরিবার ও চিলমারি ইউনিয়নের ৫’শ পরিবার। চিলমারিতে অনন্ত জলিলের হেলিকপ্টার নামার পর সেখানে বন্যা দুর্গতদের পাশাপাশি উৎসুক জনতার ব্যাপক ভিড় সামলাতে হিমসিম খেয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে আগে থেকে সব আয়োজন করা ছিল বলে জানিয়েছেন থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘অনন্ত জলিল এখানকার তিনটি ইউনিয়নের ২৪’শ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। তিনি আসবেন আগে থেকেই জানিয়েছিলেন। তাই আমরা সাধ্যমতো তাকে নিরাপত্তা দেয়া ও সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ কাজে সহায়তা করেছি।’
বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করতে কুড়িগ্রাম যাওয়া প্রসঙ্গে অনন্ত জলিল বলেন, ‘বন্যার কারণে মানুষ কতটা অসহায় জীবন যাপন করছে নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করবে না কেউ। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে আমি এখানে (কুড়িগ্রামে) এসেছি। নিজের সাধ্যমতো সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। এই সহযোগিতা কিন্তু কোনো রকমের দয়া দাক্ষিণ্য নয়। এটা গরীব, দুঃখী, বন্যা দুর্গত মানুষের অধিকার। ইসলাম আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, অসহায় মানুষের পাশে নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী দাঁড়াতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় কিছু মানুষ হয়তো দু’দিন পেট ভরে খেতে পারবে। এভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি সমাজের সামর্থবানদের বলবো, যার যতটুকু সামর্থ আছে তারা যেন ততটুকু নিয়েই বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান, তাদের সাহায্য করুন।’
প্রসঙ্গত, গত দু’মাস ধরে ঢাকা’সহ দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে তাবলীগ জামাতের সঙ্গে থেকে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে মানুষকে ইসলামের পথে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন অনন্ত জলিল। আগামী নভেম্বরে তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষার ঘরে দ্বিতীয় সন্তানের আগমন ঘটবে। অনন্ত-বর্ষা দম্পতির ঘরে আরিজ নামে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নতুন জীবনে অভিনন্দন অনন্ত; এবার শুদ্ধতার প্রেরণা হোন
অঝরে কাঁদলেন অনন্ত, জানালেন দ্বীনের পথে আসার কাহিনি