রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


‘শায়খ গোলাম নবী রহ. ছিলেন মাদরাসার জন্য এক দরদি মালী’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সদ্যপ্রয়াত ভাটিবাংলার কিংবদন্তি আলেম আল্লামা শায়খ গোলাম নবী রহ. স্মরণে তার স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহ্যবাহী ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামেয়া মারকাজুল উলুম বর্মা উত্তর রামনগর বাণীপুর মাদরাসায় এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আল্লামা শায়খ গোলাম নবী রহ. স্মৃতি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এ দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন অাহবায়ক মাওলানা অানোয়ারুল ইসলাম। এতে উপস্থিত ছিলেন হুজুরের বিপুল সংখ্যক ছাত্র, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে হুজুরের জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে তার ছাত্ররা বলেন, শায়খ ছিলেন সুন্নাতে নববীর এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। হুজুরের দেখানো পথ যারা অবলম্বন করবে তারা ইহকাল ও পরকালেও হয়ে যাবে সফলকাম। হুজুর ছিলেন মাদরাসার জন্য নিবেদিতপ্রাণ এক দরদি মালী। ব্যক্তিজীবনে হুজুর ছিলেন একেবারেই অনাড়ম্বর ও সাদাসিধে। তিনি ছিলেন নির্লোভ ও নির্মোহ একজন আল্লাহর ওলী।

তারা বলেন, হুজুরের কখনোই তাহাজ্জুদ মিস হত না। মাদরাসার কাজেই নিয়োজিত থাকতেন ২৪ ঘণ্টা। কীভাবে মাদরাসাকে উন্নত থেকে উন্নততর করা যায় সে চিন্তায়ই থাকতেন সর্বক্ষণ। তারই ফলশ্রুতিতে মাদরাসার এক সময়ের কুঁড়েঘর আজ রূপান্তরিত হয়েছে সুবিশাল জামেয়ায়।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ভাইস চেয়ারম্যান হুজুরের ছাত্র জনাব মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, রাজনীতির সুবাদে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এবং দেশের প্রায় সব জেলায়ই আমার সফর হয়েছে। কিন্তু হুজুরের মত মাদরাসাদরদি ও নিবেদিতপ্রাণ মুহতামিম আমি কোথাও দেখিনি।

যোহরের নামাজান্তে মোনাজাত পরিচালনা করেন হুজুরের দীর্ঘদিনের সাথী ও ভায়রা মাওলানা শায়খ অাব্দুশ শহিদ।

উপস্থিত ছিলেন মাওলানা অাব্দুল মুক্তাদির, মাওলানা অাজিজুল হক মুহতামিম সাচনাবাজার মাদরাসা, মাওলানা অাফসার উদ্দীন, জামেয়ার নির্বাহী মুহতামিম মাওলানা মাহমুদ হোসাইন, মাওলানা তাফাজ্জুল হক, মাওলানা শামসুল ইসলাম, মাওলানা ফয়জুল ইসলাম, মুফতি জামিল অাহমদ, হাফিজ খলিল আহমদ, মাওলানা কামরুল অামিন, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা হাফিজুর রহমান ও মাওলানা অালফাজুর রহমান প্রমুখ।

অনুভূতি পেশ করেন হুজুরের কনিষ্ঠ ছেলে মাওলানা অাবু মূসা সাফওয়ান, হুজুরের ভাতিজা ক্বারি অাহমদ শফী ও ক্বারি হাবিবুর রহমান।

উল্লেখ্য, হযরত মাওলানা শায়খ গোলাম নবী গত ১৩ আগস্ট বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত থেকে নিজ মাদরাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

‘সাংস্কৃতিক কাজগুলো একটা জায়গায় সীমাবদ্ধ ছিল, আমরা বিস্তৃত করতে পেরেছি’


সম্পর্কিত খবর