শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হজযাত্রীর জন্য চালু হচ্ছে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, থাকবে অ্যাপ কুয়েট শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ  আইন করে ভারতে মুসলিমদের অধিকার হরণ করা যাবে না: জমিয়ত করাচি-চট্টগ্রাম রুটে নৌযান চলাচলকে স্বাগত জানিয়েছে দুই পক্ষ: পাকিস্তান ২৬ এপ্রিল জমিয়তের কাউন্সিল, প্রাধান্য পেতে পারে তরুণ নেতৃত্ব কওমি সনদ বাস্তবায়ন  করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব: ধর্ম উপদেষ্টা কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতেই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব: জামায়াত সেক্রেটারি গাজায় গণহত্যা ও ভারতে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে জমিয়তের বিক্ষোভ ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় নিহত অন্তত ৩৮ ভারতীয় মুসলিমরা এখনই না জাগলে অধিকার নয়, পরিচয়ও হারাতে পারে

কিশমিশ যে ৭টি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : আমাদের মধ্যে ধারণা রয়েছে কিশমিশ খেলে নাকি দাঁতের ক্ষতি হয়। এটি মোটেও ঠিক নয়, এই ধারণা একেবারে ভুল। কিশমিশ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কঠিন রোগের সমাধান মিলবে কিশমিশ খেলে!

প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস করলে আপনি নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা হতে মুক্তি পেতে পারেন। তবে ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কিশমিশ খাওয়া চলবে না।

কী কী উপকার হতে পারে এই কিশমিশে? জেনে নিন:
১. অনেকেই ভেবে থাকেন কিশমিশে চিনি রয়েছে যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে সেই ধারণা একেবারে মিথ্যা। কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড যেটি মুখের ভেতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা সৃষ্টি করে এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধেও কাজ করে।
২. উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিশমিশের জুড়ি নেই। কারণ কিশমিশের পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্ত হতে দূর করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে।
৩. মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় কিশমিশ। এতে রয়েছে বোরন যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। বোরন হলো মনোযোগ বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে কার্যকরী একটি উপাদান। মাত্র ১০০ গ্রাম কিশমিশ হতে প্রায় ২.২ মিলিগ্রাম বোরন পাওয়া যায়।
৪. চোখের সুরক্ষা করতে হলে প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তাছাড়া বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা সমাধান করে এই কিশমিশ। কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেলন ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন প্রতিরোধ করে চোখের সুরক্ষায় কাজ করে।
৫. কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার সবচাইতে বেশি কার্যকরী। মাত্র ১ টেবিল চামচ কিশমিশ আপনাকে প্রায় ১ গ্রাম পরিমাণ ফাইবার দিতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, কিশমিশের টারটারিক অ্যাসিড হজম সমস্যা দূর করে পরিপাকতন্ত্রের সুরক্ষা করে থাকে।
৬. রক্তস্বল্পতার সমস্যা একটি বড় সমস্যা। আমরা সকলেই জানি দেহে আয়রণের অভাবে রক্তস্বল্পতার সমস্যা শুরু হয়। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ। ১ কাপ কিশমিশে রয়েছে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম পরিমাণ আয়রণ যা আমাদের দেহের প্রায় ১৭% আয়রণের ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
৭. অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধানে কিশমিশের জুড়ি নেই। কিশমিশের ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আমাদের পাকস্থলীতে যে অতিরিক্ত অ্যাসিড হয় বা অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে তা দূর করতে সহায়তা করে কিশমিশ।

-এজেড


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ