নিজস্ব প্রতিনিধি: সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্র জমিয়তের পাল্টা-পাল্টি কমিটি ঘোষণায় আলোচনা শুরু হয়েছে।
গত ৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার স্হানীয় গোলাপগঞ্জ পৌরসভা হলরুমে ছাত্র জমিয়ত গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি পদে মাওলানা রশীদুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে খালেদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদকপদে আবুল কাসেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে জাফর ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আবু বকর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আবুল কাসেমের নাম ঘোষণা করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম গোলাপগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহফুজ আহমদ।
কাউন্সিলে প্যানেল অনুমোদক ছিলেন মাওলানা আবদুল মতিন নাদিয়া, আলহাজ শামছুদ্দীন বাণীগ্রামী, মাওলানা আবদুল গাফফার সাহেব, মাওলানা আলী আহমদসহ জমিয়তের অন্যান্য মুরব্বীগণ।
প্রধান মেহমান ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতী নাসির উদ্দীন খান।
প্যানেল ঘোষণার সাথে সাথে প্যানেলকে অসংবিধানিক, নিজেদের পছন্দের পকেট কমিটি আখ্যা দিয়ে কয়েকজন কর্মী কাউন্সিল হল ত্যাগ করে তাৎক্ষণিক স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে গিয়ে পাল্টা কাউন্সিলের আয়োজন করেন। এতে হাফেজ কবির আহমদকে নির্বাহী সভাপতি, মাওঃ আবুল কাশেম, খালেদ আহমদ, শেখ মাওঃ আফজাল হোসাইন ও জাফর ইকবালকে সহ-সভাপতি, মাওঃ মাহমুদুল হককে সেক্রেটারী, আব্দুল কুদ্দুসকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আ. ছালামকে প্রচার সম্পাদক মনোনীত করে ৩১ সদস্যের পাল্টা কমিটি ঘোষণা করে খালেদ-জাফর গ্রুপ।
এ নিয়ে সাধারণ ছাত্র জমিয়ত কর্মীদের মাঝে চরম হতাশা ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে! যোগ্য ও সাংগঠনিক স্তর বিবেচনা না করে, স্বজন প্রীতি ও অযোগ্য ব্যক্তিদের মূল দায়িত্বে বসানোর অভিযোগ অনেকের।
জানা যায়, অনুষ্ঠিত এ কাউন্সিলে বাঘা ইউনিয়ন থেকে সেক্রেটারি পদ প্রত্যাশী ছিলেন বাঘা অঞ্চলের নেতাকর্মীরা। তাদের মনঃপুত কমিটি না হওয়ায় কবির আহমদরা পাল্টা কমিটি গঠন করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পক্ষে বিপক্ষে লেখালেখি চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্র জমিয়তের সাবেক সেক্রেটারি হাফেজ কবির আহমদ জানান, উপজেলা ছাত্র জমিয়তের ইতিহাসে, নতুন এক কালো অধ্যায় রচনা হলো। এই ধুম্রজাল ও নতুন ইতিহাস সৃষ্টির জন্য দায়ী করছেন সাবেক উপজেলা সভাপতি, বর্তমান জেলা ছাত্র জমিয়তের সহ সভাপতি, মাওঃ এমাদউদ্দীন ছালীম, এবং বর্তমান সভাপতি হাঃ রশিদ আহমদ ও মাওঃ আলী আহমদকে।
তিনি আরো জানান, কাউন্সিলে তারা অতিথির আসনে না বসে সারাদিন গ্রুপিং, লবিং ও দলাদলিতে ব্যস্ত ছিলেন। কর্মী, সদস্য ও মুরব্বিদের হাতে ধরে ধরে নিয়ে গোপনে পরামর্শ করে কমিটি গঠন করেন।
সদ্য বিদায়ী সেক্রেটারি খালেদ আহমদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কিছু নেতা রয়েছেন তারা তাদের নিজেদের বাহিনী তৈরি করার জন্য ব্যস্ত রয়েছেন। যার প্রমাণ হল, কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্তিতিতে ২ টি গ্রুপ, তাও আবার কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী এম সাইফুর রহমানের নিজ উপজেলা গোলাপগঞ্জে। সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়তের সিনিয়র সহ সভাপতি এমাদুদ্দিন সালিমের এলাকায়, উনারা কিভাবে সারা দেশ ও জেলায় নেতৃত্ব দিবেন, নিজের উপজেলায় নিজেরাই গ্রুপিং লবিং ও নিজেদের বাহিনী তৈরি করার জন্য উটে পড়ে লেগেছেন।
উপজেলা সভাপতি রশিদুর রহমানের সাথে এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সংগঠনের সংবিধান অনুযায়ী কমিটি গঠন করেছেন আমাদের মুরব্বীরা। কেউ যদি ঈর্ষান্বিত হয়ে পাল্টা কমিটি গঠন করে তবে মুরব্বীরা কার্যকরী পদক্ষেপ নিবেন।
বহিরাগতদের পদায়নে অস্থির জমিয়ত : মুফতী ওয়াক্কাস স্বপদে বহাল আছেন বললেন শাহীনূর পাশা