সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

গলায় ছুড়ি ধরলেও ‘বন্দেমাতরাম’ গাইবো না: আবু আজমী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ভারতের বিজেপি-শিবসেনা শাসিত মহারাষ্ট্রে ‘বন্দেমাতরম’ সঙ্গীত বাধ্যতামূলক করার বিরোধিতা করছেন রাষ্ট্রের মুসলিম নেতারা।

রাষ্ট্রের সমাজবাদী পার্টির নেতা আবু আজমী ও মজলিশ ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন নেতা ওয়ারিস পাঠান প্রকাশ্যে এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন।

মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক রাজ পুরোহিত রাজ্য সরকারকে রাষ্ট্রীয় গীত বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেন।

রাজ পুরোহিত  বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসকে বলব, সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে বন্দেমাতরম সঙ্গীত বাধ্যতামূলক করতে যে রায় দেয়া হয়েছে তা মহারাষ্ট্রেও গ্রহণ করা হোক।

বিজেপি বিধায়ক রাজ পুরোহিতের এ ধরণের মন্তব্যের পর মহারাষ্ট্রে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি ও বিধায়ক আবু আজমী বলেন, তিনি বন্দেমাতরমকে অবশ্যই সম্মান করেন কিন্তু যাই হোক না কেন তিনি তা গাইবেন না।

আবু আজমী বলেন, ‘যখন ভারত ভাগ হয়েছিল তখন এ কথা বলা হয়নি যে আমরা মুসলিমরা যদি ভারতে থাকি তাহলে আমাদের ওই সঙ্গীত গাইতে বাধ্য করা হবে। আপনারা আমাকে গুলি করতে পারেন অথবা দেশ থেকে বাইরে ছুঁড়ে ফেলতে পারেন কিন্তু আমি তা গাইব না।’

অন্যদিকে, আবু আজমীর সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে ‘অল ইন্ডিয়া মজলিশ ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন’ বিধায়ক ওয়ারিস পাঠান বলেছেন, ‘আমার ঘাড়ে বন্দুক অথবা গলায় ছুরি ধরা হলেও আমি  কোনোভাবেই বন্দেমাতরম গাইব না।’

ওয়ারিস পাঠান বলেন, তার দল সবসময় ওই ইস্যুর বিরোধিতা করেছে এবং যদি বিষয়টি বিধানসভায় তোলা হয় তখনও তার বিরোধিতা করা হবে। আবু আজমী এবং ওয়ারিস পাঠান দু’জনেই বলেছেন, ওই সঙ্গীত গেয়ে তাদের দেশপ্রেমের প্রমাণ দেয়ার জন্য বাধ্য করা যায় না।

বহিরাগতদের পদায়নে অস্থির জমিয়ত : মুফতী ওয়াক্কাস স্বপদে বহাল আছেন বললেন শাহীনূর পাশা

এদিকে, ওই বিতর্কে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ও শিবসেনা নেতা আবু আজমী এবং ওয়ারিস পাঠানকে দেশদ্রোহী বলে আখ্যা দিয়েছেন।

ভারতের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘জনগণমন’ জাতীয় সঙ্গীত হলেও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘বন্দে মাতরম্ ’ সঙ্গীতের ২৬ লাইনের মধ্যে প্রথম দু’টি স্তবকের ১২ লাইনকে জাতীয় সঙ্গীতের স্বীকৃতি দেয়া হয়।

বর্তমানে জনগণমন ভারতের জাতীয় সংগীত বা রাষ্ট্রগান ও বন্দেমাতরম ভারতের জাতীয় স্তোত্র বা রাষ্ট্রগীত হিসেবে বিবেচিত হয়।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্ট তামিলনাড়ুর স্কুল, কলেজ, সরকারি-বেসরকারি অফিস,কলকারখানা থেকে সর্বত্র ‘বন্দে মাতরম্’ গাওয়া বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছে।

গত বুধবার একটি চাকরি সংক্রান্ত মামলায় ওই রায় দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ