আওয়ার ইসলাম : অনেকে মোটা হওয়ার ভয়ে সফট ড্রিঙ্কস না খেয়ে ফলের জুস খান। তাদের ধারণা, ফলের রস শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু এতে যে হিতে বিপরীত হচ্ছে- তা বুঝতে পারেন না তারা। কারণ বেশি ফলের রসে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালরি ঢুকছে শরীরে। ফলে বাড়ছে ফ্যাট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফলের রসে ওজন বাড়ে হু হু করে। কারণ, রসে থাকে বেশি চিনি। ফলের রস থাকে প্রচুর ক্যালরি। দোকানে তৈরি স্মুদিতে থাকে অতিরিক্ত চিনি, কৃত্রিম রঙ, ফ্লেভার। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই স্মুদি একদম বাদ।
বিভিন্ন ফল দিয়ে তৈরি মিল্ক শেকও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। দুধের সাথে ফল, চিনি, ক্রিম, সিরাপ বা বিভিন্ন ধরনের ফ্লেভার যোগ করা হয়। ফলে, একগ্লাস মিল্ক শেকে ক্যালরির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০০ থেকে ৪০০।
হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথের গবেষণায় উঠে এসেছে, আপেল, আঙুর, ব্লুবেরি প্রভৃতি ফল টাইপ টু ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু ফল থেকে রস বের করে নিলে ভিটামিন-সহ বেশ কিছু উপাদান নষ্ট হয়ে যায়।
ফলের রসে ২৩ থেকে ৫৪ শতাংশ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট নষ্ট হয়ে যায়। চিনির পরিমাণ প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি থাকে।
ফলের রসে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। কোনো খাদ্যের শ্বেতসার-শর্করা কত দ্রুত রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়ায়, তার একটি পরিমাপ হল গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। ফলের রসের উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের কারণে তা বেশি দ্রুত শরীরে চলে যায়।
কমলালেবু থেকে রস বের করে নিলে তার ফ্লেভনয়েড অনেকটাই কমে যায়। ফলে, ভিটামিন সি-র ঘাটতি পূরণ হয় না।
রস বের করে নিলে কোনো ফলের ভিটামিন, ফাইবার ও পটাসিয়াম নষ্ট হয়ে যায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা শরীরে ফ্যাট কমাতে বেশি বেশি ফলের রস খাওয়ার ধারণাটাই ভুল। ফলের উপকার পেতে জুস নয়, খেতে হবে পুরো ফল। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
-এজেড