গাজীপুরে পোশাক কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে ১০ জনের লাশ তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, সম্পূর্ণ কারখানা চালু থাকলে হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক বৃদ্ধি পেত বলে তাঁরা জানান।
কাশিমপুর নয়াপাড়া এলাকায় মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড নামের পোশাক কারখানায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে কারখানার একটি চারতলা ভবনের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার দুই পাশের দেয়াল, দরজা-জানালা ও যন্ত্রপাতি উড়ে যায় এবং দুমড়েমুচড়ে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
নিহতের স্বজনরা ৮ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবে
বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবার আট লাখ টাকা করে পাবেন। মঙ্গলবার দুপুরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। চুন্নু আরো জানান, এ ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে বিমার খাত থেকে দুই লাখ এবং শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান বাবদ আরো তিন লাখ অর্থাৎ মোট পাঁচ লাখ টাকা করে দেয়া হবে। এ ছাড়া এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাজীপুরের কাশিমপুরে পোশাক কারখানায় বিস্ফোরিত বয়লারটি মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহেনুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে ওই পোশাক কারখানায় পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
সোমবার রাতের ওই বিস্ফোরণের ঘঠনায় আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। ওই কমিটির সদস্যরা আজ দুপুরে পোশাক কারখানাটি পরিদর্শন করেন।