আওয়ার ইসলাম: এই পৃথিবীতে বিস্ময়কর কতো কিছুইনা ঘটে। কিছু বিস্ময়কর ঘটা আছে প্রাকৃতিকভাবেই হয় আবার কিছু আছে মানুষের দ্বারা সংগঠিত হয়। এর মধ্যে কিছু বিস্ময়কর ঘটনা আছে খুবই নির্মম।
এমনই একটি ঘটনা হলো মানুষের মাথার খুলি দিয়ে ভবন নির্মাণ। ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকোতে আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচশত বছর আগে।
সম্প্রতি মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির একটি এলাকায় প্রত্নতত্ত্ববিদেরা এমনই একটি উঁচু ভবনের সন্ধান পেয়েছেন যেটি মানুষের মাথার খুলি দিয়ে নির্মিত। ভবনটি ছিল একটি মন্দির।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন এটি প্রাচীণ আজটেক সাম্রাজ্যের নরবলী সংস্কৃতির অংশ। আজটেক সভ্যতার লোকেরা ধর্মীয় সংস্কৃতির অংশ হিসেবে নরবলী দিত এবং নরবলী দেয়ার পর মৃত দেহের খুলি দিয়ে এই মন্দির ভবন নির্মাণ করে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা ওই ভবনটিতে অন্তত সাড়ে ছয়শো মাথার খুলির সন্ধান পেয়েছেন। ভবনের ওপরের দিকে বসানো খুলিগুলো নারী ও শিশুদের। ধারণা করা হচ্ছে খনন যত এগুবে খুলির সংখ্যা আরো বাড়বে।
দলের জৈব নৃবিজ্ঞানী রদ্রিগো বোলানোস বলছেন "মাথার খুলি দেখে প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম কোনো তরুণ যোদ্ধার দেহাবশেষ হবে হয়তো। কিন্তু পরবর্তীতে যখন আমরা নারী ও শিশুদের মাথার খুলি পাই তখন বুঝলাম এরা যুদ্ধে যেতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ নতুন। আমাদের কাছে এর কোনো রেকর্ডও নেই"।
কিন্তু সেখানে নারী ও শিশুর অনেক খুলি দেখে মানুষকে বলি দেয়া বা উৎসর্গ করার সংস্কৃতির ইঙ্গিত মেলে। আজটেক ও অন্যান্য মেসোআমেরিকান সংস্কৃতির মধ্যে সূর্যের উদ্দেশ্যে নরবলি দেয়ার রীতি ছিল।
নৃবিজ্ঞানী রাউল বারেরা বলছেন, খুলিগুলো ভবনে বসানোর আগে সেগুলো দেখার জন্য হয়তো জনসম্মুখে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে প্রত্নগবেষকেরা মেক্সিকো সিটির পুরনো অংশে যে খননকাজ শুরু করেছিলেন তা এখনো শেষ হয়নি। তথ্যসুত্র বিবিসি বাংলা।
এসএস/