আওয়ার ইসলাম : সাবেক জার্মান শাসক অ্যাডলফ হিটলারের শেষ পরিণতি নিয়ে ধোঁয়াশার কোনো শেষ নেই। এর সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করলেন বয়স মাত্র ১২৮ বছর বয়সী হারমান গুটেনবার্গ। তিনি দাবি করেছেন, তিনিই হিটলার।
আর্জেন্টিনার সালতার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের দাবি, তিনিই অ্যাডলফ হিটলার! এল প্যাট্রিওটা নামের একটি সংবাদপত্রকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবিই করেছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে হারমান গুটেনবার্গ নামে পরিচিত ওই বৃদ্ধ জানিয়েছেন, ১৯৪৫ সালের বিপর্যয়ের পর তিনি আর্জেন্টিনায় চলে আসেন। আত্মগোপন করতে নিজের নাম বদলে নেন। জার্মান গুপ্তচররা হারমান গুটেনবার্গের নামে পাসপোর্ট বানিয়ে দেয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর পরাজয়ের পর ১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল আত্মহত্যা করেন হিটলার। এ কথা ইতিহাসের পাতায় লেখা রয়েছে। এ তথ্যকে মেনে নিয়েছেন জার্মানরাও। কিন্তু সম্প্রতি আর্জেন্টিনার ওই বৃদ্ধের দাবি নতুন করে ভাবাচ্ছে, ১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল আদৌ কি মৃত্যু হয়েছিল হিটলারের?
হিটলারের জন্মস্থান; ভেঙে ফেলবে অস্ট্রিয়া
কিন্তু এই বয়সে পৌঁছে মানুষের স্মৃতিশক্তি কতটা নির্ভরযোগ্য? গুটেনবার্গের এসব দাবিকে প্রলাপ বলেই মনে করছেন অনেকে।
এমনকি বৃদ্ধের স্ত্রী ৫৫ বছর বয়সী অ্যাঞ্জেলা মার্টিনেজেরও দাবি, তার স্বামী অ্যালঝাইমার’স-এর শিকার। স্মৃতিভ্রংশের ফলেই এ সব বলছেন গুটেনবার্গ। অ্যাঞ্জেলা আরও বলেন, ২০১৫ সাল পর্যন্ত কখনও এই বিষয়ে কোনও কথা বলেননি গুটেনবার্গ।
তবে তার বিশ্বাস, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গুটেনবার্গ হয়তো নাৎসি বাহিনীতেই ছিলেন। সে সময় ইহুদিদের প্রতি হওয়া বর্বরতায়, নাৎসি বাহিনীর কৃতকর্মে তিনি আজ অনুতপ্ত। তাই ইদানীং এই সব কথা বলছেন।
অ্যাঞ্জেলার ধারণা যাই হোক না কেন, গুটেনবার্গ যখন নিজেকে হিটলার বলে দাবি করে একের পর এক নানা দাবি, তথ্য সামনে আনছেন, তখন কিছুটা কাকতালীয় ভাবেই আর্জেন্টিনার বুয়েনেস আইরেসের একটি বাড়ির গুপ্ত কুঠুরির মধ্যে থেকে সন্ধান মিলেছে নাৎসিদের ব্যবহৃত জিনিসপত্রের ভাণ্ডার।
হিটলার বেঁচে থাকলে এখন তার বয়স ১২৮ বছরই হতো। তবে অ্যালঝাইমার’স-এ আক্রান্ত একজন বৃদ্ধ কী করে ৭০ বছর আগের এবং তার পরবর্তী সময়ের সব তথ্য দিচ্ছেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই!
বৃদ্ধের শেষ ইচ্ছে, তিনি তার (অ্যাডলফ হিটলারের) ‘আত্মজীবনী’ লিখবেন। তার বিশ্বাস, এই আত্মজীবনী বিশ্বের মানুষের কাছে হিটলার সম্পর্কে অনেক ধারণা পাল্টে দেবে। মানুষ চিনবে এক অচেনা, নতুন হিটলারকে! আনন্দবাজার।