উবায়দুল্লাহ সাআদ: স্বল্প সময়ে বহুল পরিচিত সম্ভাবনাময় দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মারকাযুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার চলতি বছর নতুন বিভাগ খুলেছে। ‘তাখাসসুস ফিল বয়ান’ নামের বিভাগটিতে ওয়ায়েজ বা বক্তা হতে ইচ্ছুকদের যত্নের সঙ্গে গড়ে তোলা হবে।
মারকাযুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার দেশের বিজ্ঞ ওলামা মাশায়েখের পরামর্শ এবং একদল তরুণ ও মেধাবী ওলামায়ে কেরামের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। ফলে মারকাযটি অল্প সময়ই ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। মারকায প্রিন্সিপাল বরেণ্য ওয়ায়েজ ও লেখক মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে জাতীয়ভাবে অবদান রাখতে চাই। যদিও হঠাৎ করেই তা সম্ভব নয়, তবে সে পরিকল্পনা নিয়েই সামনে এগুচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রায়সই কিছু ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়ে থাকি।
তিনি জানান, তাখাসসুস ফিল বয়ান বয়ানের ময়দানে বাতিলপন্থী ভ্রান্ত আলোচনার মোকাবেলায় আহলে হক আলোচক গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ আয়োজন। কেবলমাত্র সূরকেন্দ্রিক নয়, সাবলীল ভাষায় বিষয়ভিত্তিক আলোচনা-ই মূল উদ্দেশ্য। শুদ্ধ ভাষায় সাবলীলভাবে কুরআন এবং হাদীসের সঠিক আলোচনা যাতে করতে পারে, সে জন্য একটি প্রশিক্ষণমূলক কোর্সের প্রয়োজন। এ বিভাগটি সে ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।
এ বিভাগের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের সব মানুষ মাদরাসায় কিংবা তাবলিগে বা কোনো হক্কানী পীরের দরবারে যায় না। কিন্তু এলাকার ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত হয়। বছরে আমি কমবেশী এক কোটি মানুষের সামনে আলোচনা রাখি। এখন আমার জানা বা বলায় যদি ভুল থাকে, তাহলে সে ভুলটি এ এক কোটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পরবে। ইউটিউবের মাধ্যমে সেটি প্রচার পাবে বিশ্বব্যাপী। সেজন্য আমাকেও তো সঠিকটি জানতে হবে।
মুফতী মিছবাহ বলেন, সমাজ পরিবর্তনে, সমাজের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ওয়াজের ভূমিকা অতুলনীয়। ওয়াজের সুনির্দিষ্ট কিছু উপকার রয়েছে, যেগুলোকে অস্বীকার করার উপায় নেই। আইন করে মানুষকে যে কাজ থেকে ফেরানো যায় না, মামলা বা গুলির ভয় দেখিয়ে যে মানুষকে মাদক বা চুরি ছিনতাই থেকে বিরত রাখা সম্ভব নয়, সে অসাধ্য কাজটি ওয়াজের মাধ্যমে অনেকটাই সম্ভব। যেহেতু এদেশের মানুষ এখনও ধর্মপ্রিয়।
জানা যায়, বিভাগটিতে থাকবে দরসুল কুরআন (তাফসীরে ইবনে কাসীর), উসূলে তাফসীর, দরসুল হাদীস (বিষয়ভিত্তিক হাদিস মুখস্থ), ফেরাকে বাতেলা, ভাষা চর্চা, ইসলামের ইতিহাস, বিতর্ক প্রশিক্ষণ/যুক্তি তর্কে (বাহাস টকশো), পারদর্শী করে গড়ে তোলা।
৩ জুলাই'১৭ সোমবার থেকে মারকাযের সকল বিভাগে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।
এখানে অন্যান্য বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে, ফতোয়া বিভাগ (১বছর), কিতাব বিভাগ (উর্দু থেকে মেশকাত), হিফজ বিভাগ (আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন) হিফজ বিভাগে আন্তর্জাতিক ক্বারীদের
অনুকরণে মাশকের ব্যবস্থা।
এছাড়াও এখানে ১৮ বছর উর্ধ্ব হাফেজ/দাখেল পাশ ছাত্রদের জন্য সহজ পাঠ্যসূচিতে ১ বছরে ইবতেদায়ী থেকে মিযান পর্যন্ত পড়ার সুযোগ রয়েছে।
মাদরাসার সার্বিক নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং, ৩ বেলা রুচিসম্মত ও স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি রয়েছে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। লোডশেডিংকালীন আইপিএসের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা।
ভর্তি ফী ২০০০ থেকে ৩৫০০ এর মধ্যে। এছাড়া মাসিক খরচ- ১৫০০-৩৫০০ এর মধ্যে। গরীব ও মেধাবীদের জন্য থাকবে বিশেষ বিবেচনা।
যোগাযোগ : যাত্রাবাড়ী শনিরআখাড়া সড়ক, কাজলা ফাতেমা-নাজ পেট্রোল পাম্পের বিপরীতে, ফ্লাইওভার টোল প্লাজা সংলগ্ন, জামাল মার্কেটের ৩য় ও ৪র্থ তলা। মোবাইল: 01941-686495
কওমি মাদরাসায় ভর্তির সময় টিসি জরুরি; দ্রুত আইন করা উচিত: আল্লামা আনোয়ার শাহ