লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীতে নিখোঁজ বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার লাশ উদ্ধার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
সীমান্তে ভারতীয় গরু পাচার প্রতিরোধ করতে গিয়ে তার লাশ দেখতে পান বিএসএফ বাহিনী।
বুধবার (২৮ জুন) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঘটনাস্থল (দহগ্রামের আবুলের চর) থেকে প্রায় চার কিলোমিটার পূর্ব ভাটিতে তিস্তা নদী থেকে কোচবিহার-১৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের উদ্ধারকারী দল তার লাশ উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ।
তিনি বলেন, ‘নিহত বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার লাশ তিনবিঘা করিডোরে অথবা দহগ্রামে গ্রহণ করা হতে পারে। বিজিবির রংপুর রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাইফুল ইসলাম সাইফ ও রংপুর সেক্টর কমান্ডার আবুল কালাম আজাদসহ আমরা ঘটনস্থালের দিকে রওনা দিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ২টার দিকে দহগ্রাম সীমান্তের ৬ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলার আবুলের চর এলাকায় গরু চোরাচালানপ্রতিরোধে তিস্তা নদীতে নেমে নিখোঁজ হন বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া।
এরপর রাতেই বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করলে স্পিডবোট নিয়ে উদ্ধার তৎপরতায় নামে বিএসএফ। এরপর মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাটের মোগলহাট সীমান্ত থেকে স্পিডবোট আনার পর উদ্ধারকাজে যোগ দেয় বিজিবি। এরপর রংপুর ও পাটগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি লিডার আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে নামে।
বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার আনারও প্রস্তুতি নেয় বিজিবি। কিন্তু তিস্তার পানি ঘোলা হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত হেলিকপ্টার আনা সম্ভব হয়নি। পরে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে উদ্ধার কাজ সাময়িক স্থগিত করা হয়। এরপর আজ বুধবার সকালে আবারও উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়।