রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


খুশির ঈদে প্রাণের ছোঁয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রোকন রাইয়ান

‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’— পবিত্র সুরের বার্তা নিয়ে এসেছে ঈদ। মুনিনের হৃদয়ে খুশির দোলা। প্রাণে প্রাণে নব উচ্ছ্বাস। আনন্দের ঢেউ উপচে পড়ে গ্রাম বন্দর শহর নগরে। কোথাও যেন ফাঁকা নেই, বিস্তৃত নগরী লাল সাদা হরেক রঙ ছড়িয়ে আছে। কেউ মাঠে যাচ্ছেন, কেউ ফিরছেন। কেউ যাচ্ছে সজনের খোঁজে।

রোববার সন্ধ্যায় আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখার পরই শুরু হয় এ উৎসব। চলবে তিনদিন। মুমিনের হক এ আনন্দ উৎসব। পুরো রমজান রোজা পালনের পর আসে ঈদ। ঈদুল ফিতর। বিশ্ববাসীকে আনন্দ আর খুশির হিল্লোলে ভাসিয়ে তোলে। পবিত্র আনন্দের ছোঁয়ায় জাগিয়ে তোলে অগণন হৃদয়।

সোমবার বাংলাদেশে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন শুরু হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের নামাজ, কোলাকুলি, ভাব বিনিময় ও সেলামির মাধ্যমে একে অপরের প্রতি শুভেচ্ছায় সময় কাটাচ্ছেন।

ইসলামের ঈদুল ফিতরকে মূল্যায়ন করা হয়েছে উপঢৌকনের দিবস হিসেবে। দীর্ঘ এক মাস রমজানে সংযমের পর মুসলমানরা এ দিনে আনন্দ করেন। ঈদুল ফিতর ধনী-গরিব, উঁচু-নীচু, ছোট-বড় নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করায়। এখানে থাকে না জাতিভেদ। বর্ণ গোষ্ঠী। সবার জন্য এক কাতার। একই ঈদগাহ।

ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয় মানুষকে। পুরো মুসলিম উম্মাহকে সাম্য ও সম্প্রীতি ও একতার বন্ধনে আবদ্ধ করে ফেলে।

ঈদ আনন্দের প্রথম অনুষঙ্গ মাঠে সম্মিলিত নামাজ। সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে নামাজের মাধ্যমে শুরু হয় এ অনুষঙ্গ। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ঈদের নামাজ পড়েন মুসলিমরা।

জাতীয় ঈদগাহে নামাজের ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান। নামাজের পর দীর্ঘ  মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। এখানে মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, সংসদ সদস্য, জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনৈতিক এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা নামাজ আদায় করেন।

ঈদ প্রতিটি মুমিনের জীবনের বয়ে আনুক শান্তি। সারাবছর কাটুক নিরাপদে, নির্বিঘ্নে। আজ পবিত্র ঈদের দিনে প্রতিটি মুসলিমের তরে এই কামনা রইল।

ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক


সম্পর্কিত খবর