মাওলানা মাহমুদ হাসান সিরাজী
প্রিন্সিপাল, জামিয়া ওসমান ইবনে আফফান রা.
আমাদের বাংলাদেশে কত হাজার গ্রাম আছে? আশির দশকের ৬৮ হাজার গ্রাম থেকে এখন সম্ভবত ৯০ হাজারের কাছাকাছি। এ শুমারির বাইরেও আরো অনেক গ্রাম রয়েছে যা গোনা হয়নি।
তো একটা জেলার ১০ গ্রামের কিছু কিছু মানুষ বিভ্রান্তির শিকার হয়ে ছোট ছোট পরিসরে ঈদের জামায়াতের আয়োজন করলো। এটাকে আবার নিউজ করতে হবে কেন? এটা নিউজ করার কি হলো? না কি গোটা দেশবাসীকে বিভ্রান্তিতে ফেলানোর একটা অপকৌশল!
সকাল থেকে এখন পর্যন্ত সব জেলার মিলে দু'শ গ্রামের মানুষও ঈদের নামাজ আদায় করেনি। তো এটা এমন কি হল? এটা কি সবাইকে জানানোর কোনো বিষয়?
তাছাড়া এ বিভ্রান্তির শিকার যারা তাদের সাথে কিন্তু দেশের স্বীকৃত কোনো আলেম ওলামার সম্পৃক্ততা নেই। দেশের স্বীকৃত কোনো আলেম এমনটা কখনো দাবিও করেননি।
আজ একটা ছবি দেখলাম এমন একটা ঈদের জামায়াতের ইমামতি করছে একজন দাড়িহীন ব্যক্তি।
কী আর করবে? ইমামতির জন্য কোনো আলেমকে পাওয়া যেতে হবে তো?
এরা দুনিয়ার সব বুঝে। এরা ঈদ করবে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে, কিন্তু সাহরি ও ইফতার কেন করে না সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে?
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে না কেন সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে?
আমি জানি না এরা সৌদির সাথে মিল রেখে কুরবানি করে কি না? না কি রোজা আসলেই এদের এমন পাগলামি মাথা চারা দিয়ে উঠে।
তবে মিডিয়াকর্মীরা এ ব্যাপারে সচেতনতার পরিচয় দেওয়া উচিৎ। এমন খবরকে পাত্তা না দেওয়া উচিৎ।
আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে সকল প্রকার বিভ্রান্তি থেকে হেফাজত করুন।