তুরস্কে সরকার সেদেশের জাতীয় পাঠ্যক্রম থেকে বিবর্তনবাদের তত্ত্ব বাদ দিয়েছে। খবর বিবিসি
তুরস্কের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিকুলাম বোর্ডের প্রধান আলপাসলান দারমাস ঘোষণা করেন, নবম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জীববিজ্ঞানের পাঠ্যবই থেকে চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদ সংক্রান্ত একটি অনুচ্ছেদ আগামী বছর থেকে বাদ দেয়া হবে।
চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের মূল কথা হলো, সকল প্রজাতির প্রাণীরই কিছু অভিন্ন পূর্বপুরুষ থেকে ক্রমাগত পরিবর্তনের মাধ্যমে উদ্ভব ঘটেছে। কিন্তু ধর্মীয় পরিমন্ডলে এই তত্ত্বকে স্বীকার করা হয় না।
দারমাস বলেন, নবম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের এসব বিতর্কিত বিষয় বোঝার বয়স হয় নি এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের আগে এগুলো পড়ানো হবে না।
তবে এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হচ্ছে তুরস্কের অনলাইন ফোরামগুলোতে। এসব ফোরামের আলোচকরা বলছেন, এ ধরনের পরিবর্তন হলে বিজ্ঞান বা জীববিদ্যা পড়ানো হবে কিভাবে?
কিন্তু সরকারের উদ্যোগের সমর্থকেরও অভাব নেই। ফেসবুকে একজন মন্তব্য করেছেন, আমি সরকারকে এ জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি যে তারা এই পচা এবং অর্থহীন মতবাদটিকে পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দিচ্ছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান ইতিমধ্যেই জাতীয় পাঠ্যক্রমে পরিবর্তনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। আগামী সপ্তাহে এটা প্রকাশ করা হচ্ছে।
সৌদি আরবের পর তুরস্ক হবে দ্বিতীয় দেশ যারা বিবর্তনবাদ পড়ানো বন্ধ করে দিচ্ছে।
জানা গেছে, তুরস্কের একটি রক্ষণশীল এবং সরকারের ঘনিষ্ঠ শিক্ষক ইউনিয়ন পএসব পরিবর্তনের প্রস্তার করে।
ইসলাম ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী আল্লাহ মানুষ ও সকল প্রাণীর স্রষ্টা এবং প্রথম মানব-মানবী হচ্ছেন আদম এবং তার পাঁজরের হাড় থেকে তৈরি হাওয়া।
এসব বিষয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান নিজেই একাধিকবার বলেছেন, তার লক্ষ্য হচ্ছে একটি ধার্মিক প্রজন্ম গড়ে তোলা।
কারী মাওলানা বেলায়েত হুসাইন আর নেই