আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মায়ানমার নাগরিকদের দ্বারা বাংলাদেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জাানলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ এম মাহমুদ আলী
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন ।
মন্ত্রী বলেন, মায়ানমার নাগরিকরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করে ভূমির ক্ষতি করছে, গাছপালা নষ্ট করছে। পরিবেশের ক্ষতি করছে। এমনকি তারা বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে। তারা স্থানীয় শ্রমবাজার ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের করা প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী বলেন, "অনুপ্রবেশকারী নাগরিকরা উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের ক্ষতি সাধন করছে। তাদের কেউ কেউ পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন দ্বীপ অঞ্চলে বসবাস শুরু করেছে। এসব এলাকায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সামাজিক ভারসম্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তারা মিয়ানমার সীমান্তে মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও মানবপাচার, চোরাচালান, সীমান্তে মাদক উৎপাদনসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত রয়েছে। "
একই প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মায়ানমার নাগরিকরা সীমান্ত এলাকায় একটি অপরাধ চক্র তৈরি করে জাতীয় নিরাপত্তা, জাতিগত পরিচয় ও আর্থ সামাজিক স্থিতিশীলতার বত্যয় ঘটাচ্ছে। অনেক মিয়ানমার নাগরিক বঙ্গোপসাগরে জেলে হিসেবে গিয়ে বাংলাদেশি জেলেদের হত্যা করছে। মাছ ধরার ট্রলার ছিনতাই করছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে কক্সবাজার জেলার মোট জনসংখ্যার ২০ থেকে ২৫ ভাগই মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে আসা অবৈধ বার্মিজ জনগোষ্ঠী। এরা ভবিষ্যতে আমাদের দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সর্বশেষ গত অক্টোবর ২০১৬ মিয়ানমারের সীমান্ত ফাঁড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও পরবর্তী সামরিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে সেদেশের রাখাইন রাজ্যের মুসলিম জনগোষ্ঠী বাপক নির্যাতনের শিকার হয়। ফলে নতুনভাবে রাখাইন রাজ্যের বিপুল সংখ্যাক মুসলিম নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।
এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫ হাজার মায়ানমারের নাগরিক নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে মন্ত্রী জানান।
এসএস/