দিল্লিতে একটি মসজিদ গুড়িয়ে দেয়ার পর এবার ভারতের কেরালা রাজ্যের ১৭টি মসজিদে আজান দেয়া যাবে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর হয়েছে। কেরালার মল্লাপুরমের জেলার ভাজাক্কাড় এলাকার ওইসব মসজিদে এখন থেকে শুধু একটি আজান দেয়া হবে।
ওই এলাকার সবথেকে বড় মসজিদ বালিয়া জুমা মসজিদ থেকেই একটি মাত্র আজান দেয়া হবে। চুক্তি অনুযায়ী গত রবিবার থেকে লাউডস্পিকারের ব্যবহারও বন্ধ করে দিয়েছে ওই ১৭টি মসজিদ। মসজিদে অনুষ্ঠিত মুসলিমদের অন্য যে কোন উৎসবেও লাউডস্পিকার ব্যবহার করা হবে না।
স্থানীয় কাউন্সিল মহলের প্রেসিডেন্ট টি.পি.আবদুল আজিজ দাবি করেন, মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন স্কুল, ব্যবসায়ী, এমনকি একাধিক সংগঠনের তরফে জনসভা করার ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছিল। তাই সবদিক ভেবেই লাউডস্পিকার ব্যবহার বন্ধ করা উচিত বলে মনে হয়েছে।
এলাকার প্রতিটি মসজিদ থেকেই একযোগে আজানের সময়সীমা স্থির করা নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেলও গঠন করা হয়েছে। শিগগির ওই প্যানেলের সদস্যরা মুসলিম লীগ প্রধান হায়দার আলি সিহাব থাঙ্গাল এবং মুসলিম গ্রুপের সদস্যের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। সেখানেই সর্বসম্মতভাবে আজানের সময় ঠিক করা হবে।
লাউডস্পিকারের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য ২০১৫ সালেই স্থানীয় সব মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন মুসলিম লীগ প্রধান হায়দার আলি সিহাব থাঙ্গাল। মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীসহ অন্যদের অনেক অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে চিঠি লিখে সেসময় জানিয়েছিলেন থাঙ্গাল।
দিল্লিতে গুড়িয়ে দেয়া হলো মসজিদ, আতঙ্কে ঘর ছাড়ছে মুসলমান