শাহনূর শাহীন: চলছে ফলের মৌসুম। ফলের মৌসুমে সবার প্রিয় একটি ফল আম। ফলের রাজা আম। মধু মাসের রসালো আম পুষ্টিগুণে ভরপুর। আম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর রয়েছে অসামান্য পুস্টিগুন।শরীরে ভিটামিনের চাহিদা মেটাতে আমের তুলনা অতুলনীয়।।
কাঁচা এবং পাকা আমের চাহিদা সমান। বিশেষ করে গরমের ক্লান্তি দূর করতে কাঁচা আমের ভর্তা সবার প্রিয়।আর পাকা আমের চাহিদা তো সবসময়ই তুঙ্গে।
[caption id="" align="alignnone" width="604"] কাঁচা আম[/caption]
তবে কাঁচা পাকা যাই হোক ডাক্তার বলছেন, বেশি আম খাওয়া একদম ঠিক নয়। কারো কারো জন্য রয়েছে ক্ষতিকর প্রভাব সম্প্রতি এমনটিই জানালেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা বলেছেন, পাকা আমে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন এ বা বিটা ক্যারোটিনসহ নানান ভিটামিন। আবার রয়েছে উচ্চমাত্রার চিনি, কার্বোহাইড্রেড ও গ্লাইসেমিক।
মূলত উচ্চ মাত্রা চিনি থাকাটাই ভয়ের প্রধান কারণ। পাকা আমে চিনির পরিমাণ বেশি থাকার ফলেই শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।
[caption id="" align="alignnone" width="604"] পাকা আম[/caption]
চিকিৎসকের কথায়, যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তারা একেবারেই আম থেকে দূরে থাকুন। কেননা আম রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে শরীরের নানা ক্ষতি সাধন করে।আবার যারা অ্যাজমার সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রয়োজনে কম খাবেন। কিডনির সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের পক্ষেও বেশি আম খাওয়া উচিত নয়।
চিকিৎসকরা জানান, পাকা আম অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যায়। পাশাপাশি রক্তে শর্করার পরিমাণ সুগারের পরিমাণও বেড়ে যায়।
[caption id="" align="alignnone" width="604"] আমের মুকুল[/caption]
আমে বিদ্যমান ফিটোকেমিক্যাল কম্পাউন্ড তথা গ্যালিক অ্যাসিড, ম্যাঙ্গফেরিন, কোয়ার্নেটিন এবং টেনিন বা কষজাতীয় উপাদানগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিমিত পরিমাণে আম খান। এমন পরামর্শই দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এসএস/