আওয়ার ইসলাম : সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ আজ হয় নি। দলীয় নেতাকর্মীদের দাবি পুলিশি বাধায় তারা কর্মসূচি পালন করতে পারে নি। পরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করেছে দলটি। প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় নেতৃবৃন্দ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে না দিয়ে বাক স্বাধীনতা হরণ করে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না। ধৈয্যের সীমা অতিক্রম করলে গণমানুষের গণবিক্ষোভে নেমে পড়বে। তখন নাস্তিক-মুরতাদরা এদেশে এক মুহূর্তও টিকতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, মুসলমানদের ঈমান, ধর্ম-বিশ্বাস এবং স্বকীয় সংস্কৃতির উপর আজ জাতীয়ভাবে আঘাত করা হচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে আমরা শঙ্কিত। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণ করার ১দিনের মাথায় পুন:স্থাপন করে মুসলমানদের সাথে তামাশা করা হয়েছে।
মৃণাল হক মুসলমান নামের কলঙ্ক: চরমোনাই পীর
মূর্তি ধ্বংস করুন নতুবা আপনারা ধ্বংস হয়ে যাবেন: চরমোনাই পীর
চরমোনাই পীর বলেন, আমরা লুকোচুরি চাই না, মূর্তি অপসারণ চাই। শুধু গ্রিক মূর্তি নয়, কোন ধরণের অশ্লীল মূর্তি বাংলাদেশে থাকতে পারবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব- অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন ও আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, নগর সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া ও মোঃ মোশাররফ হোসেন, ডা. কামরুজ্জামান, মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিকনেতা আল আমিন সাইফী, যুবনেতা মুফতি মানসুর আহমদ সাকী, ছাত্রনেতা শরীফুল ইসলাম।
আল্লামা আহমদ শফীকে দেখতে হাসপাতালে চরমোনাই পীর
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, মূর্তির পক্ষাবলম্বনকারীরা মস্তিস্ক বিকৃত। তাদের ঈমান নেই। আল্লাহও তাদের রেহাই করবেন না। আল্লাহর দেয়া অধিকার যারা কেড়ে নেয়, তারা আল্লাহর দুশমন।
তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষের ঈমান-আকিদা ও বোধ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মূর্তি স্থাপন করে প্রধান বিচারপতি অনুচিত কাজ করে তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। সময় থাকতে মূর্তি সরান না হলে ঈমানদার জনতা উত্তেজিত হলে আখের রক্ষা হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও ইনু, মেনন, নূর ও মাইনুদ্দীন খান বাদলসহ মূর্তিপ্রেমী ইসলাম বিদ্বেষী একটি মহল যেভাবে উষ্কানীমূলক কথাবার্তা বলছে তাতে তাদের জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়াটা দেশবাসীর জন্য লজ্জার বিষয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনাকে জনগণ মূর্তির প্রধানমন্ত্রী বলতে শুরু করেছে। কাজেই মূর্তির প্রধানমন্ত্রী থাকবেন নাকি মুসলমানদের প্রধানমন্ত্রী হবেন সেটা আপনি চিন্তা করে দ্রুত মূর্তি অপসারণ করুন। মূর্তি ঈদের আগেই সরাতে হবে। না হলে ঈদের পর কঠোর আন্দোলন শুরু হবে।
-এআরকে