হামিম আরিফ: উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোতে যে সংকট চলছে তা নিরসনে কাজ করছে কুয়েত সরকার। দেশটি জানিয়েছে তাদের মধ্যস্ততায় উতোমধ্যেই কাতার আরব রাষ্ট্রগুলোকের সঙ্গে বসতে রাজি হয়েছে। কাতার তার সঙ্গে সম্পর্কছেদকারী রাষ্ট্রগুলোর অভিযোগগুলোও মন দিয়ে শুনতে চায়।
গত সোমবার প্রতিবেশী সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনসহ আরো কিছু দেশ কাতারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কছেদ করে। এ সময় পারস্য উপসাগর এলাকার এই প্রতিবেশী দেশগুলো কাতারের সঙ্গে স্থল, নৌ ও বিমান যোগাযোগও বন্ধ ঘোষণা করে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘কুনা’ বলেছে, তার ভ্রাতৃসম দেশগুলোর সংশয় ও উদ্বেগ অনুধাবন করতে এবং নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করতে যে জোর প্রচেষ্টা চলছে তা বিবেচনা করতে কাতার এখন প্রস্তুত এবং কুয়েত সরকার তা নিশ্চিত করেছে।
উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর এই মতানৈক্য নিজেদের মধ্যেই মিটমাট করাটা যে অত্যাবশ্যক, কুয়েত এমনটাই জোর দিয়ে বলতে চায়। কুয়েতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, অন্তর্বিরোধগুলোর নিষ্পত্তি করতে ও মতানৈক্যের মূল কারণ খুঁজে বের করতে কুয়েত মধ্যস্থতা চালিয়ে যাবে।
উপসাগরীয় দেশ তিনটি দুই সপ্তাহের মধ্যে সব কাতারি নাগরিককে ওইসব দেশ ত্যাগ করতে বলেছে।
অন্যদিকে, কাতারে অবস্থানরত নিজেদের নাগরিকদের কাতার ত্যাগ করতে বলেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর বিরোধিতা করে বলেছে, এতে হাজারো মিশ্র নাগরিকত্বের দম্পতির জীবন বিঘ্নিত হবে।
অবশ্য পরে মানবিকতার খাতিরে দেশ তিনটি মিশ্র জাতীয়তার পরিবারগুলোকে নিজ দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে। এ ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য কর্তৃপক্ষ স্থাপিত হটলাইনে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে এর বেশি বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
কাতার অবশ্য তার দেশে অবস্থানরত সৌদি, আমিরাতি ও বাহরাইনি নাগরিকদের নিরাপদে ও মুক্তভাবে অবস্থান করার আশ্বাস দিয়েছে। ওই দেশগুলোর প্রায় ১১ হাজার নাগরিক কাতারে অবস্থান করছে।
‘যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধেই’ তালেবানের সাথে শান্তি আলোচনায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল কাতার