আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ১১ মাস আটকে রেখেছিল। তারা আমাকে দোতলার নিচেও নামতে দিতো না। এমনকি অসুস্থ হলে আমাকে ডাক্তারও দেখায়নি বলে জানিয়েছেন ।
তিনি বলেন, এমন অনেক বাধাই এসেছে এরপরও কিন্তু আমি কখনও মনের জোর হারাইনি।
রবিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কারামুক্ত দিবস উপলক্ষে নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলের বউয়ের অপারেশন এবং মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা থাকায় সেসময় আমি দেশের বাইরে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে বলা হয়েছিল দেশে আসলে মামলা দেবে, ওয়ারেন্ট ইস্যু করবে, আমাকে দেশে আসতে দেবে না। এই খেলাই তারা খেলতে চেয়েছিল। সবাই মামলার ভয়ে পালায়। আমি দেশে আসি মামলা মোকাবিলা করার জন্য। নির্দেশ ছিল কেউ যেন বিমানবন্দরে না যায় এবং তারা সংখ্যা বেঁধে দিয়েছিল। ১০/২০ জন, তার বেশি যেতে পারবে না। কিন্তু নেতা-কর্মীরা বাধা উপেক্ষা করে কৌশলে বিমানবন্দরে হাজির হয়। এ ধরনের ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘জীবিত মানুষ পুড়িয়ে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল। নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, তারপর তার এই অবস্থা। বাংলাদেশের মানুষ সাড়া দেয়নি। উল্টো মানুষের ধাওয়া খেয়ে অফিস থেকে আদালতে গিয়ে বাসায় ফিরে গিয়েছিল। ‘লুটেরা পার্টি’ বিএনপি ক্ষমতার ওপর থেকে সৃষ্টি হয়, তারা জনগণকে কিছু দিতে পারেনি। বিএনপি বাংলাদেশকে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। আজকে সেই বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মান মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ আজকে যে উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে নিশ্চয়ই তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করবে।’