রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একটি মহল ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও মনগড়া বক্তব্য দিয়ে সুন্দরবন ধ্বংস হবে বলে গণমাধ্যমে তথ্য প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত তিনটি জায়গার মধ্যে পরিবেশগত এবং অন্যান্য সার্বিক দিক দিয়ে সবচেয়ে সুবিধাজনক ও গ্রহণযোগ্য হওয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য রামপালকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফজিলাতুন নেসার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেওয়া ভিশন ২০৩০ আওয়ামী লীগের রূপকল্প : ২০২১ এর প্রতিচ্ছবি। তারা ক্ষমতায় গেলে কী কী করবে রূপকল্পে তার দীর্ঘ ফর্দ দেওয়া হলেও কীভাবে কোন পদ্ধতিতে তা বাস্তবায়ন করা হবে, কীভাবে অর্থায়ন হবে তা স্পষ্ট নয়। এটি অনেকটা নির্বাচনী ইশতেহারের মতোই হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তাদের রূপকল্প ২০৩০ এ যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছে, তার অধিকাংশই বর্তমান সরকার ইতিমধ্যে পূরণ করেছে। আগামী অর্থবছরে বাকি কাজগুলো শেষ করা হবে।
আওয়ামী লীগের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এর প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে। দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমরা ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছি। রূপকল্পের বাস্তব অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে আগামী দিনের বাংলাদেশকে বিশ্বে অগ্রগামী ও উন্নত জনপদে পরিণত করতে জাতিকে আমাদের এই মেয়াদের মধ্যেই রূপকল্প ২০৪১ উপহার দেব।
এসএস/