সুলতানা কামালের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। গতকাল এক ইফতার পার্টিতে আলোচনায় তিনি বলেন, “কত বড় স্পর্ধা, মূর্তি সরালে নাকি মসজিদও সরাতে হবে। এ কথার মাধ্যমে বোঝা যায় আমরা কোথায় যাচ্ছি।”
মঙ্গলবার সন্ধায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে সম্মিলিত জাতীয় জোটের এক ইফতার মাহফিলে এ সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, “রমজানের রহমতের ১০ দিন শেষ হয়ে গেছে। আল্লাহ মনে হয় আমাদের মোনাজাত কবুল করেন নাই। রহমত বর্ষণ করেন নাই। খবরের কাগজ পড়লে দেখি খুন, ধর্ষণ, গুম, বাড়ি ছাড়া, জমি দখল। কোন দেশে বাস করি। এর পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা এর পরিবর্তন আনবো।”
এরশাদ বলেন, “আরেকটা বিষয় খবরের কাগজে পড়ি। সেটা হচ্ছে মৌলবাদ আর সাম্প্রদায়িকতা। আমি এর অর্থ বুঝি না। আমরা মুসলমানরা ইসলামের কথা বললেই সেটা সাম্প্রদায়িকতা হয়ে যায়। সুলতানা কামাল বলেছেন হাইকোর্টের সামনে থেকে মূর্তি সরানো হলে মসজিদও সরাতে হবে। এতবড় স্পর্ধা। এভাবে সে একথা বলতে পারে না। আমরা কোথায় গেছি। কোথায় তলিয়ে যাচ্ছি এ কথার মাধ্যমে বুঝতে পারি।”
তিনি আরও বলেন, “আজকে প্রতিশ্রুতি হোক আমরা এ অরাজকতা থেকে দেশকে রক্ষা করবো। এটাই হোক এ জোটের প্রতিশ্রুতি। মানুষের বাড়ি-ঘর, জানমাল রক্ষা করবো। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবো। আমরা দোয়া করি যেন আল্লাহ আমাদের সাহায্য করে।”
জাপার দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলটির কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সেলিম উদ্দিন এমপি, ইয়াহিয়া চৌধুরী এমপি, জহিরুল আলম রুবেল, একে এম আশরাফুজ্জামান খান প্রমুখ।
জোটের ইফতার পার্টিতে বক্তব্য দেন- জোটের শীর্ষ নেতা বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মান্নান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও জোটের মুখপাত্র এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার এমপি, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক, বিএনএ এর মুখপাত্র শেখ মোস্তাফিজুর রহমান।
ইফতারির ১০ মিনিট আগে আজান প্রচার খবরে বিটিভির প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা