আবদুল্লাহ তাহসান নুর : দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ ও ইসলামি দলগুলোর দাবি মুখে পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ যাওয়া ২২ গল্প-কবিতা ও প্রবন্ধের সংকলন প্রকাশ করে তা প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। গত এপ্রিলে প্রকাশিত এ সংকলনের নাম দেয়া হয়েছে 'পাঠ্যপুস্তক সাম্প্রদায়িকীকরণ :বাদ দেয়া হয়েছে যেসব লেখা'।
তাদের এ উদ্যোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের সচেতন আলেম উলামা, ইসলাশি চিন্তাবিদ, শিক্ষক ও অভিভাবকগণ।
উদীচীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন বলেন, 'এ বইটি একটি আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে।’
উদীচীর সংকলনের পূর্বে 'যা আমাদের পড়তে দেয়নি' শিরোনামে আরেকটি সংকলন প্রকাশ করে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী সমুদ্র সৈকত। গত মার্চে তিনি ২ কপি প্রকাশ করে তা শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেন। সমুদ্র সৈকতের 'যা আমাদের পড়তে দেয়নি' সংকলনে ১১টি কবিতা ও পাঁচটি গল্প স্থান পায়।
‘যা আমাদের পড়তে দেয়নি’ ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রকাশিত হওয়ায় সংকলনটির মাত্রা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ করতে পারে নি। তাই এগিয়ে আসে উদীচী এবং নতুন নামে এবং বর্ধিত কলেবরে প্রকাশ পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ যাওয়া গল্প-কবিতা ও প্রবন্ধের সংকলনটি।
পাঠ্যপুস্তকে পুনর্পরির্বতনের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে: শেখ ফজলে বারী মাসউদ
উদীচীর সহ-সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দের সম্পাদিত নতুন সংকলনে জায়গা পায় বাদ যাওয়া সবগুলো লেখা এবং সুভেচ্ছা মূল্য ধরা হয়েছে ১০ টাকা।
উদীচী উদ্যোগ নিয়েছে বইটি সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার। উদীচীর সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম জানান, মাত্র ১০ টাকা শুভেচ্ছা মূল্যে এ সংকলনটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, যাতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বুঝতে পারেন, কোন লেখাগুলো পড়তে দেওয়া হয়নি।
আধ্যাপক এবিএম রুহুল কবির উদীচীর এমন উদ্যোগের খবরে বিস্মিত হন। তিনি বলেন, যেখানে সরকার লেখাগুলো পাঠ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য মনে করেন নি, সেখানে উদীচী তা কিভাবে শিশুদের মাঝে বিতরণ করছে। আমি মনে করি, এটা রাষ্ট্র ও সরকারের প্রতি এক ধরনের ধৃষ্টতা।’
-এআরকে