পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে যুবলীগকর্মীর মৃত্যুর ঘটনানা ৭ জনকে আটক রা হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার রাত থেকে জারি হওয়া ১৪৪ ধারা এখনো বহাল রয়েছে।
রাঙামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাফিউল সারোয়ার জানান, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তারা সাতজনকে আটক করেছেন। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আজ শনিবার সকাল ১১টায় তারা এক বৈঠকে বসবেন বলে জানান তিনি।
জানা যায়, সবার মনে এখন একটা আতঙ্ক কাজ করছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমনকি বিভিন্ন গুজবও ছড়ানো হচ্ছে যে ওই জায়গায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনো জায়গায় আক্রমণ করা হবে। এর আগে স্থানীয় পুলিশ জানায়, নুরুল ইসলাম নয়ন নামের এক যুবলীগকর্মীর লাশ বৃহস্পতিবার রাতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-লংগদু সড়কের পাশে পাওয়ার পর উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তার জানাজার পর শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাঙালিরা মিছিল বের করলে আক্রমণের সূত্রপাত হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লংগদু উপজেলার একাধিক গ্রামে পাহাড়িদের বেশ কিছু বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা, হতাহতের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং পাহাড়িদের কাছ থেকেও ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে ১৫-১৬টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা বলা হলেও চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'হামলায় আড়াই শ ঘরবাড়ি ও দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ কর্মকর্তা মো. শাফিউল সারোয়ার আজ শনিবার সকালে জানান, প্রাথমিকভাবে ৫০টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। কিন্তু সঠিক সংখ্যাটা তারা এখনো জানতে পারেননি। লংগদু এলাকায় হামলার আশঙ্কায় অনেক পাহাড়ি গত বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যান এবং হামলার পর আরো অনেকে পালিয়ে গেছেন। তারা এখনো বাড়ি ফেরেননি।
রাঙ্গামাটিতে যুবলীগ নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উত্তেজনা, ১৪৪ ধারা জারি