মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ভারতে রোজাদার মুসলিম তরুণীকে ধর্ষণ: প্রতিকার চেয়ে মোদীর কাছে আবেগী চিঠি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ভারতের উত্তরপ্রদেশে চলন্ত ট্রেনে একজন পুলিশ কনস্টেবলের হাতে ধর্ষণের শিকার হন এক মুসলিম তরুণী। ধর্ষণের সময় মেয়েটি রোজাদার ছিলো বলে জানা গেছে। রোজাদার মুসলিম তরুণীর ধর্ষণের শিকার হওয়ার ভারতের গণমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

ধর্ষণের এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থার উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনেকেই। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখলেন এক নারী।

সানা সিকান্দার নামের নারী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তার চিঠিতে লেখেন,

সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী মোদীজি, প্রথমত, আমি আপনাকে জিডিপি বৃদ্ধি শেষ চতুর্থাংশের ৭% থেকে নিচে ৬.১% র জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। এখন, উত্তরপ্রদেশে অভিজাত ক্ষমতাসীন শ্রেণীর বিকাশের মুখোশ খুলে দেয়ার আমাকে অনুমতি দিন। ইন্ডিয়া টুডের অপরাধ সংঘটনের রিপোর্ট অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বেড়ে জানুয়ারি মাসের ২৮৬ জন থেকে মার্চ মাসে ৩৯৬ জন এবং এপ্রিলে বেড়ে হয়েছে ৩৯৯ জন।

মঙ্গলবার ঘটেছিলো এমনই একটি নির্মম ঘটনা, যখন একজন দেশের রক্ষক ধর্ষকে পরিণত হয় যা ভারতীয় সংবিধানে অন্ধকারময় স্থানরূপে চিহ্নিত করা যায়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি ২৫ বছর বয়সী মহিলা চণ্ডীগড়-লখনউ এক্সপ্রেসে ভুল পথে চালিত হয়ে ট্রেনে উঠে পড়ে। কিছু কারণে তিনি অসুস্থ অবস্থায় অস্বস্তিবোধ করতে শুরু করেন।

হয়তো ভারতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর নির্ভর করা তার ভুল ছিলো! সে তার প্রতি বিশ্বাস করেছিলো, যার হাতে রাষ্ট্রকে বাঁচাতে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যে দেশের বাসিন্দাদের রক্ষাকারী, সে কিভাবে অপরাধ করতে পারে।

মেয়েটির সব ভুল ছিল!’ মেয়েটি সাহায্য চাইলে কর্তব্যরত ২৪-বছর বয়সী কনস্টেবল কুমার শুক্লা তাকে অক্ষমদের জন্য সংরক্ষিত বগিতে যাওয়ার জন্য উপদেশ দেয়। ট্রেন চাঁদপুর রেল স্টেশন থেকে প্রায় ৮টার দিকে পৌঁছায়।

শুক্লা তখন মহিলাকে রিজার্ভ বগিতে নিয়ে যায়, যেখানে তিনজন যুবক বসেছিলো। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, কনস্টেবল যুবকদের অন্য বগিতে স্থানান্তরের জন্য বাধ্য করে এবং সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নারীটিকে ধর্ষণ করে!

এখন, কনস্টেবল শুক্লার ভিডিও মেরুদণ্ডকে ঠাণ্ডা করে দেয়। এত জঘন্যতম অপরাধ করার পরও শান্তির সাথে পুলিশ স্টেশনে সে লাঞ্চ করে। এই ঘটনার ৪৮ঘণ্টা অতিবাহিত হয়ে গেল। কিন্তু এই ঘটনার উপর আইনি অধিকারের কোন নজরদারি লক্ষ্য করা গেলো না।

এই ক্ষেত্রে আমি প্রত্যেক মেয়ে নাগরিকের পক্ষ থেকে ‘ভারতীয় আইন প্রয়োগকারীদের কাছে একটি সহজ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চাই, ‘এখন আমাদের কাকে বিশ্বাস করা উচিত?’

অতএব, আমি বিনীতভাবে আপনাকে অনুরোধ করব যেন দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করে এমন আইন ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দিকে নজর দিতে।

ইতি, সানা সিকান্দার, একজন ইন্ডিয়ান।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ