আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের উপকূলকে উলটপালট করে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ভারতে প্রবেশ করেছে। মিজোরাম ও ত্রিপুরায় অবস্থান করছে মোরা।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহা বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (১৭ নম্বর) বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোরা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে দুপুর ১২টার মধ্যে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে পড়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে আজ রাত নয়টা পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
৬ জনের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে কক্সবাজার, রাঙামাটি ও ভোলায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গাছচাপায় চারজন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে একজন এবং মায়ের কোল থেকে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে ঘূর্ণিঝড়ের সময় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় গাছের নিচে চাপা পড়ে রহমত উল্লাহ ও সায়রা খাতুন নামের দুজন নিহত হন। এ ছাড়া কক্সবাজার পৌরসভার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে মরিয়ম বেগম নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরার প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় রাঙামাটি শহরে উপড়ে পড়া গাছের নিচে চাপা পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন।
ত্রাণ নিয়ে সেন্টমার্টিনে নৌবাহিনী
ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রাণ নিয়ে সেন্টমার্টিন যাচ্ছে নৌবাহিনী।
ঘূর্ণিঝড় মোরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ১৩৫ কি.মি. বেগে আঘাত হানে। এরপর ৪-৫ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে।
এ সময় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ১০০ থেকে ১২৮ কি.মি. বেগে প্রবল ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়।
‘মোরা’ নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী, সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ