সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

তারাবিহ নামাজে চার রাকাত পরে দোয়া পড়ার বিধান কী?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: তারাবিহ নামাজে প্রতি ৪ রাকাত পর পর মুসল্লিরা একটি দোয়া পড়ে থাকেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না পঠিত দোয়ার বিধান কী।

অনেকে মনে করেন প্রতি ৪ রাকাত পর হামদ ও ছানা সংবলিত ওই দোয়াটি পড়া জরুরি। আবার কেউ কেউ বলেন, একেবারেই ভিত্তিহীন এর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এ নিয়ে অনেক সময় মুসুল্লিদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কও হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেই এর সমাধান কী।

তারাবিহ নামাযের প্রতি চার রাকাত পর নির্দিষ্ট কোন দোয়া দরূদ পড়ার কথা বিশুদ্ধ সূত্রে হাদীসে বর্ণিত হয়নি। কিন্তু চার রাকাত পর এতটুকু সময় বসা মুস্তাহাব, যতক্ষণ সময় চার রাকাত নামায পড়তে সময় লেগেছে।

সেই সময় নফল নামায পড়া, তাসবীহ পড়া, দরূদ পড়া, জিকির করা, কুরআন তিলাওয়ত করা, কিংবা চুপ করে বসে থাকা, মক্কায় হলে তওয়াফ করা সবই জায়েজ।

[সুরা তারাবি পড়বেন না খতম তারাবি?]

তবে হ্যাঁ, নির্দিষ্ট কোন একটি কাজকে আবশ্যকীয় মনে করার কোন সুযোগ নেই। সুযোগ নেই নির্দিষ্ট কোন দোয়াকে জরুরী মনে করা।

যেহেতু যেকোন দুআ ও দরূদ এ সময়ে পড়া যায়। সেই হিসেবে কিছু কিছু ফুক্বাহায়ে কেরাম এ সময়

سُبْحَانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ، سُبْحَانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظَمَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوتِ، سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ، سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ، لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ نَسْتَغْفِرُ اللَّهَ، نَسْأَلُك الْجَنَّةَ وَنَعُوذُ بِك مِنْ النَّارِ

হামদ ও ছানার এই দোয়াটি পড়তে বলেছেন।

এটা জরুরী, বা সুন্নত-মুস্তাহাব হিসেবে পড়তে বলেননি। বরং এসময় চুপ করে থাকার চেয়ে দোয়া দরূদ, জিকির আজকার করা উচিত। সেই হিসেবে তারা একটি চমৎকার আল্লাহর হামদ এবং দোয়ার শব্দময় উক্ত বাক্যগুলো পড়তে বলেছেন।

[সারাদেশে একই পদ্ধতিতে খতম তারাবি পড়ার আহবান, যেভাবে পড়বেন]

এটি পড়া যায়। কিন্তু সুন্নত-মুস্তাহাব বা জরুরী মনে করা যাবে না। পড়লেও অসুবিধা নেই, না পড়লেও কোনো সমস্যা নেই।

 

সুত্র: ahlehaqmedia.com

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ