শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই’ শরীরে রক্ত বাড়াতে যেভাবে পালং শাক খাবেন ‘প্রকৃতপক্ষে ভুল হলে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’

হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ আল ফারুক : নাজনীন আক্তার হ্যাপি। এই তো কিছু দিন আগেও তিনি ছিলেন সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা। অর্থ, গ্ল্যামার, জনপ্রিয়তা, শোবিজ জগতে অবস্থান- সবই ছিলো তাঁর। কিন্তু সে-সব ছেড়ে এখন তিনি আপদমস্তক পর্দাবৃত দ্বীনদার মুসলিম নারী। সিনেমার কৃত্রিম নিয়ন আলোর জগত ছেড়ে চলে এসেছেন হিদায়াতের আলোকিত ভুবনে। পড়াশুনা করছেন মাদরাসায়। যাচ্ছেন দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতে। নিজে যেমন দ্বীনের ওপর উঠে এসেছেন, তেমনই অন্যকেও দ্বীনের পথে ডেকে যাচ্ছেন নিরন্তর। এমনকি এতোদিনের সুপরিচিত নাম ‘হ্যাপি’ ছেড়ে এখন তিনি নিজের পরিচয় দিচ্ছেন ‘আমাতুল্লাহ’।

কীভাবে হলো এতো বড় পরিবর্তন?
তাঁর জীবনে আলোর এমন উদ্ভাসিত ঝলক কোত্থেকে এলো?
কীভাবে তিনি ‘হ্যাপি’ থেকে ‘আমাতুল্লাহ’ হলেন?
সেলুলয়েডের তীব্র আকর্ষণ উপেক্ষা করে কীভাবে তিনি চলে এলেন মাদরাসার অন্দরমহলে?

তাঁর হিদায়াতের পথে উঠে আসার পথ কি ফুলের মতো কোমল ছিলো?
না-কি তাকে মাড়াতে হয়েছে অবর্ণনীয় কষ্ট, উপেক্ষা ও নির্যাতনের কণ্টকাকীর্ণ পথ।
জীবনের এই আকস্মিক পটপরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাকে কি শুধু নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছে?
না-কি লড়তে হয়েছে এতোদিনের চেনা মুখ আর সুপরিচিত স্বজনদের সঙ্গেও?

এমন কিছু প্রশ্ন নিয়ে আমরা মুখোমুখি হয়েছিলাম তাঁর সঙ্গে। তিনি আমাদের কাছে বলেছেন তাঁর জীবনের আদ্যোপান্ত। শৈশব, তারুণ্য, দাম্পত্য জীবন থেকে শুরু করে জীবনের সুখ-দুখের কথাগুলো তিনি অকপটে আলোচনা করেছেন। তিনি যেমন তাঁর স্বপ্নের কথা বলেছেন, তেমনই বলেছেন স্বপ্নভঙ্গের ব্যথাভরা অনুভূতির কথাও।

সত্যি বলছি, আমাদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় যখন তিনি তাঁর জীবনের সেই বেদনাবিধুর উপাখ্যান বলছিলেন, আমরা আমাদের চোখের অশ্রু ধরে রাখতে পারিনি। হিদায়াতের পথে তাঁর পা পিছলে পড়া, আবার উঠে দাঁড়ানোর সংগ্রামের অশ্রুভেজা কথাগুলো শুনে আমাদের চোখ থেকেও টপটপ অশ্রু ঝরেছে। খুব কষ্টে নিজেদেরকে সামলে নিয়ে সাক্ষাৎকার সম্পন্ন করতে হয়েছে।

এখন সাক্ষাৎকারটির ঘষামাজার কাজ চলছে। আমরা চেষ্টা করছি একটি সুখপাঠ্য ও ঈমানদীপ্ত বই পাঠকবর্গের হাতে তুলে দিতে। আল্লাহ চাহেন তো, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই Maktabatul Azhar । মাকতাবাতুল আযহার থেকে বইটির মুদ্রিত কপি পাঠকের হাতে তুলে দিতে সমর্থ হবো। সবার কাছে দুআর আবেদন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ