আলী হাসান তৈয়ব: হারুন নামের আমার এই মুসল্লি ভাই ঘোষণা দিয়েছেন, এখন থেকে রমজানের শেষ পর্যন্ত ছোলা বিক্রিতে কোনো লাভ করবেন না।
টঙ্গীর এরশাদনগর ছোট বাজারে সবচেয়ে বড় দোকান তার। আশপাশের সব দোকানদার তার এখান থেকেই পাইকারি মাল কেনেন। রোজ অঢেল বিক্রি হয় প্রতিটি পণ্য। রমজানে অনেক টন ছোলা বিক্রি হবে লাভ ছাড়া। কেনা দাম হলেও ক্যারিং খরচ যা পড়বে টাকার অংকে তাও কম নয়। এটা তিনি রোজাদারদের জন্য আল্লাহর ওয়াস্তে খুশি মনে ব্যয় করবেন। উপরন্তু তিনি নিয়ত করেছেন, আগামী বছর রমজানের তিনটি পণ্য বিক্রি করবেন কেনা দামে।
আমাকে যখন উজ্জ্বল মুখে সুন্দর নিয়তগুলো শোনাচ্ছেন, তখনই আমার সামনে এক খরিদদার তার কাছে ছোলা কত কেজি করে জানতে চাইল। তিনি বললেন কেনা দামে এত করে নিতে পারবেন। লোকটি বলল, আমি দুই বস্তা নেব পাইকারিতে। তিনি বললেন, কেজিতে একই দাম পড়বে যতটুকুই নিন।
তারপর তিনি শোনালেন, আল্লাহর হুকুম মেনে ব্যবসায় বরকতের বিস্ময়কর ইতিবৃত্ত। বললেন, 'নোয়াখালী থেকে এসে আমি এখানে ঢুকেছিলাম মাত্র ৬২০ টাকা হাতে। কোনোদিন ভেজাল দেইনি। কম লাভে মানুষের কাছে পণ্য বিক্রি করেছি। গরিবের ওপর এহসান করতে চেষ্টা করেছি। সবসময়ই সচেষ্ট থেকেছি মায়ের দোয়া নিতে।
আজ আমার নিজের তিনতলা বাড়ি। বাজারে আটটির মতো দোকান। এই বিশাল ব্যবসা। সবই আমার মায়ের দোয়া আর আল্লাহর দয়া।'
তিনি সবসময় দীনের ওপর চলতে চেষ্টা করেন। জিকির করেন। আল্লাহওয়ালা লোকদের সোহবত গ্রহণে আগ্রহী থাকেন। সত্য কথা বলেন। হাসি মুখে কথা বলেন সবার সঙ্গে। আল্লাহ তাঁর ব্যবসায় আরও বরকত দিন।
চার দিন পর ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন নেতার লাশ উদ্ধার
হাজিদের সেবায় সৌদি শিশুদের অনন্য দৃষ্টান্ত