হাবিবুর রহমান মিছবাহ
প্রিন্সিপাল মারকাযুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ঢাকা।
ছবি তোলা নিয়ে মতনৈক্য আছে, প্রিন্ট নিয়ে নেই। সবার ঐক্যমতে শরঈ জরুরত ব্যতীত ছবি প্রিন্ট না জায়েয়। কিন্তু প্রিন্ট না হলে শুধু ছবি তোলাকে কেউ জায়েয বলেছেন, আবার কেউ না জায়েজ। তবে বিনা কারণে অতিরিক্ত ছবি তোলা তাকওয়া পরিপন্থী'র ব্যাপারেও সবাই একমত।
কেরাত খলফাল ইমাম নিয়ে ইখতেলাফ রয়েছে। মৃত্যুর পর মুর্দার কথা শুনতে পায় কি না সে ব্যাপারে ইখতেলাফ আছে। ইখতেলাফ রয়েছে ছায়া আচলী নিয়েও। এরকম হাজার মাসআলা নিয়ে মুজতাহিদদের মাঝে মতানৈক্য দৃশ্যমান।
কিন্তু পর্দা নিয়ে কি মুজতাহিদদের মাঝে কোনো মতানৈক্য আছে? যদি থাকে সেটি কি রকম ইখতেলাফ? নিশ্চয়ই কুরআল কারীমে মনগড়া কিছু সংযোজনের সুযোগ নেই! তাহলে ব্যাপারটিকে কেনো এতো গুরুত্বহীন ভাবছি? রাস্তা-ঘাটে মুসলিম যুবতীর পর্দাহীন চলাফেরায় রয়েছে যৌন আবেদন! কোথায় এদের অভিভাবক? আর আমাদের বিবেকের-ই বা এ কী হাল?
এখন পর্দা নামক বিধানটিই খুব বেশী অবহেলিত সমাজে। বেপর্দাকে মানুষ কিছু মনেই করে না। বলতে পারেন অনেকে গুনাহ-ই মনে করে না (আল্লাহ মা'ফ করুন)। অন্তত নারীদের সাথে তাদের ওঠা-বসার ধরণে এমনটিই অনুমেয়।
৯২% মুসলমানের দেশে নারী-পুরুষের অবাধ মেলা-মেশা বন্ধ হোক.....!
লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে।
এসএস/