সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

আদ-দ্বীন আন নাসিহাহ: মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলামপন্থার সংকট (২য় পর্ব)

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আলমগীর নিষাদ

কমিউনিজম ও বাঙালি সংস্কৃতি: ইসলাম নিজেকে ‘ধর্ম’ দাবি করেনি। ইসলামে কাঠামোগত ধর্মের ধারণাটি এসেছে খ্রিস্টানিটি থেকে, খ্রিস্ট ধর্মের প্রভাবেই ইসলাম ‘রিলিজিয়ন’ হয়ে ওঠে। ইসলাম হলো সার্বিক জীবনব্যবস্থা বা দ্বীন। এই দ্বীনের নাম ইসলাম। বর্তমান মুসলিম বিশ্বে ইসলামের কয়েক রকম ভার্সন দেখা যায়। দ্বীনের মতবাদগুলোর পারস্পরিক সংঘাতও আছে, এগুলো অনৈক্যের পরিচয় নয়। বরং তা রাজনৈতিক প্রকল্প ও তাত্ত্বিক বিচার-ফিকাহর চলমানতা ও হালাল-হারামের বাহাস। প্রশ্ন, ইসলামের এসব মতবাদের সহিত্ব বিচার করবে কে। নিঃসন্দেহে কোরআন-হাদিস ধারণকারী মুমিন জনগণ। কারণ, আসমান থেকে আল্লাহর ফয়সালা (ওহি) আসার সুযোগ ইসলামে আর নেই। তাই একমাত্র দ্বীন প্রতিষ্ঠার নিরিখেই মতবাদের সহিত্ব নিরুপণ হতে পারে।

ইসলামে ন্যায়বিচার ও ভাবাদর্শ চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ ভাবাদর্শ দিয়ে দুনিয়ায় ইসলাম প্রচারের ঐতিহাসিক শিক্ষা মুসলমানদের কাছে এখন গৌণ হয়ে গেছে। ভাবাদর্শ দিয়ে তাওহিদ প্রচারে নবীর (সা.) পথ নতুন করে আবিষ্কারের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নামাজ কামাই দিলে যেমন গুনাহ হয় তেমনি ক্ষুধার্থ পেটে কেউ ঘুমাতে গেলে প্রতিবেশিকে গুনাহগার হতে হয়। যেকোনো মানবিক সেবার মাধ্যমে রোজগার করা যায় পরলোকের সওয়াব।

সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা মুসলমানের কাছে নামাজ-রোজার মতো ধর্মপালন। তাই, ইসলামের বাইরে ন্যায্য ও মর্যাদামূলক সমাজের প্রতি ইসলামের দরদি থাকার কথা। সে হিসাবে মার্কসীয়-লেনিনীয় মতবাদের সঙ্গে ইসলামের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক মিত্রতা গড়ে ওঠার কথা ছিল। হযরত মুহম্মদের (সা.) আবির্ভাবের পর আর কোনো ‘ধর্ম’ প্রতিষ্ঠা পায়নি। ‘মতবাদ’ হিসেবে এসেছে একমাত্র কমিউনিজম। কমিউনিস্টরা অর্থনৈতিক শোষণ নিঃশেষের মন্ত্র প্রচার করেছে। কিন্তু খোদায়ী ‘ইমান-আকিদার’র অনুপস্থিতির কারণে ইসলাম মার্কসবাদকে সুনজরে বিবেচনা করেনি।

শ্রমকে মানবচরিত্রের মৌলিক উপাদান বিবেচনা করে এগোলেও কার্ল মার্কসের শ্রমশোষণ ধারণার সাথে মিত্রতা আছে ইসলামের ‘শ্রমের মজুরি’ তত্ত্বের। ন্যায্যমজুরি ধার্যের ক্ষেত্রে মার্কসবাদ সমাজে বিদ্যমান ‘বৈধ’ শোষণের চরিত্র ব্যাখ্যা করেছে, যা ইসলামের কাছে সদর্থক হওয়ার কথা। দেওবন্দি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মধ্যে আমরা এই ‘মিত্রতার’ উদাহরণ পাই। সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলের ‘জার্নি ফ্রম মার্কসবাদ টু ইসলামে’র এখনো পাঠনির্মাণ হয়নি। জলিল ‘দেওবন্দিস্ট’ ছিলেন। সেক্যুলার মুসলমানের রাষ্ট্রবাসনাতেও ‘গণপ্রজাতন্ত্রী ইসলাম’, ‘ইসলামি সমাজতন্ত্র’ ও ‘ইসলামি বিপ্লবের’ নানা বুঝাপড়া দেখা যায়। বাঙালি মুসলমানের সংবিধানেও ঠাঁই পেয়েছে ‘সমাজতন্ত্র’। সিগনিফিকেন্ট যে মার্কসবাদ অনুশীলনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে (এমএন রায়) ইসলাম নিয়ে চিন্তাভাবনার উদাহরণ রয়েছে।

[caption id="attachment_33875" align="aligncenter" width="500"] ১৯৭০-এ ঢাকায় জনসভায় মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী[/caption]

একজন মুসলমানের কাছে ইসলাম সর্বোত্তম ও সর্বকালের মতবাদ। অথচ ‘সেক্যুলার হয়েও পুঁজিবাদবিরোধী’ এই ‘কমিউনিস্ট’দের ইসলাম হেদায়েত করতে পারেনি। মার্কসবাদ তো বদলে যাওয়ার ধর্ম। সাম্যবাদীসমাজের একদিন ইসলামের দ্বীনে রূপান্তরিত হওয়ায় কোনো বাধা নেই। কিন্তু ইসলামি প্রাক্সিস ‘স্বজ্ঞানে’ মার্কসবাদের সাথে সংলাপের কোনো স্পেস তৈরি করেনি। প্রশ্ন করা যায়, মুসলমানরা কি এখানে হেদায়েতের দিকটা অবজ্ঞা করেছে? খুঁজে দেখতে হবে, নতুন নতুন দুনিয়াবি মতবাদের সামনে ইসলামের হেদায়েত ও জিহাদকে কীভাবে হাজির করা হচ্ছে।

সেক্যুলার মনে ইসলামকে রাজনৈতিক মতবাদ হিসাবেও পাঠ করা যায়। তাহলে কোনো ‘অমুসলিম’ জনগোষ্ঠী যদি খোদায়ী ইমান-আকিদা বিহীন কেবল ইসলামের ইনসাফের ধারণায় রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। তখন ইসলাম কীভাবে এর মুখোমুখি হবে? এটা হতে পারে সমাজের এক ‘নতুন পরিস্থিতি’।

মার্কসবাদ অর্থনৈতিক শ্রেণি বিভাগকে অবলম্বন করে বিস্তারিত হয়। আর ইসলাম অর্থনৈতিক শ্রেণিবিভক্ত সমাজের ভাবাদর্শগত শ্রেণিবিভাগকে গুরুত্ব দিয়েছে। মার্কস-পরবর্তী জ্ঞানকাণ্ডে কিন্তু এই হেজিমনিরই সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। কমিউনিজমও ন্যায়-আদর্শের একপ্রকার ‘আধ্যাত্মিকতা’ই নির্মাণ করেছে। হতে পারে, মার্কসবাদ মডার্নিটির সেন্ট্রাল স্পিরিচুয়াল মিথ অথবা ‘নিরাকার ও সর্বত্র বিরাজমান’ সত্তার অভাব এভাবে পূরণ করেছে। ইসলাম ‘উম্মাহ’র কথা বলছে- রাষ্ট্র ধারণার অনুগামী হয়নি। মার্কসবাদও ‘রাষ্ট্রের শুকিয়ে মরা’র প্রকল্প হাজির করেছে।

‘মাদরাসায় ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার নয় শুধু আলেম তৈরি হবে’ এ কথায় একমত নই: মাওলানা মিসবাহ

যাকে আমরা মূলধারার শিক্ষা বলছি সেটা মূলত ঔপনিবেশিক ধারা: ড. সলিমুল্লাহ খান (ভিডিও)

ইসলাম বৈশ্বিক ও সর্বকালের মতবাদ বলেই স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনায় সে বিশেষভাবে আগ্রহী। দৃষ্টান্তের বাইরের যাবতীয় কাজের ফয়সালা সে করে কোরআন ও হাদিসের দ্যোতনা (এসেন্স) দিয়ে। ইসলাম যে নতুনকে ব্যাখ্যায় আগ্রহী তার প্রমাণ- ইবাদত ও সম্পর্কশাস্ত্রে (মুয়ামেলা-মুয়াশারা) ইসলামে চারটি মাজহাবের উদ্ভব ঘটেছে। ইসলামি সমাজে ‘ফতোয়া’ অব্যাহত রাখা হয়েছে। মুফতিদের ‘মাসলা-মাসায়েল’ হলো সমাজের নতুন পরিস্থিতির নতুন ফয়সালা। মেরুবলয়ের টানা দিন-টানা রাত্রির দেশে রোজা পালনের আলাদা বিধান করা হয়েছে। মুসাফির, গর্ভবতী নারী কিংবা যুদ্ধক্ষেত্রসহ নানা বিবেচনা ইসলাম ধারণ করে আছে। উটের বদলে এ উপমহাদেশে গরুপশু কোরবানি দেয়া হয়। ইসলামের ইতিহাসের প্রথম যুগ থেকেই স্থানীয় ভূ-প্রকৃতি, সমাজ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি সেই দেশের শাসন-আন্দোলনের প্রকৃতি, শত্রু-মিত্রের ধারণা নির্ধারণ করেছে। ফলে একটা দেশের ধর্মীয় জীবন বা মুসলিম সমাজের জীবন প্রণালী নির্ধারণে সেই দেশের ভূ-প্রকৃতি ও সাংস্কৃতিক চরিত্র অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

[caption id="attachment_33876" align="aligncenter" width="500"] মার্কস-এঙ্গেলস-লেনিন-স্তালিন-মাও[/caption]

ইসলাম জনগোষ্ঠীর জাতীয় সংস্কৃতি ও মাতৃভাষাকে অস্বীকার করেনি। জাতিসত্তা বা জাতীয় চেতনা বিলোপের পথও ইসলামের নয় (জনগোষ্ঠীকে তার আত্মা থেকে বিচ্ছিন্ন করার এই কাজটি করেছে ইউরোপীয় উপনিবেশ)। অথচ, আমাদের ইসলামপন্থীরা মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি জাতিসত্তার কাছে তার প্রাপ্যগুলো আজও বুঝে নিতে পারেনি। ধর্মতত্ত্বের বাইরে ইসলামকে বুঝার অনীহার কারণে পর্যালোচনার বদলে সে পরিত্যাগ করে চলেছে স্থানীয় ঐতিহ্য।  বাঙালি মুসলমান জাতীয়তার সংকট এখনো ফয়সালা করতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি সংস্কৃতির গায়ে সেক্যুলার পোশাক দেখে এর উত্তরাধিকার বহনে গড়িমসি করে সে শেকড়হীন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রায় সব সমাজতাত্ত্বিক ‘ভারতীয় জাতীয়তাবাদ’কে ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদ’ বলেছে। মানুষ ‘পরামার্থিক’ প্রাণী, মানুষের চিন্তার চরিত্র ধর্মতাত্ত্বিক। ফলে আধুনিককালে হিন্দু-জনগোষ্ঠী ধর্ম দিয়েই তাদের জাতীয় আত্মপরিচয় নির্মাণের ফজিলত হাসিল করেছে। অথচ ‘ইসলামি জাতীয়তাবাদ’কে বলা হয়েছে ‘মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা’। সেক্যুলাররা এ দেশের জাতীয় ইতিহাসের বীর- ১৮৫৭ সালের সিপাহীসহ শরীয়তুল্লাহ, তিতুমীর, দুদুমিয়াদের আড়াল করে প্রেজেন্ট করেছে সূর্যসেন-প্রীতিলতাদের। বাঙালি মুসলমানের সঙ্গে জাতীয় সংস্কৃতির দূরত্বের চাপ এভাবে দুই দিক থেকে সমানভাবে এসেছে।

[caption id="attachment_33877" align="aligncenter" width="500"] এস এম সুলতানের আঁকা বাংলা দেশ[/caption]

বাংলা ভাষার গঠন ও সাহিত্যের মরমিয়া মুসলমান মননের সৃষ্টি। আরবি-ফার্সি শব্দ’সমুচ্চয়ে’র সাক্ষাৎকারেই বঙ্গের ‘প্রাকৃতবুলি’ ‘বাংলাভাষা’ হয়ে জন্মগ্রহণ করে। বাংলার জনগোষ্ঠীর মুসলমান হওয়া এবং বাংলা ভাষার অভ্যুদয়ের ইতিহাস এক ‘অভিন্ন-নৃতত্ত্ব’। বাঙালি মুসলমান সমাজের এই ‘জাতীয়’ রূপের সন্ধান জরুরি। যা এদেশের ইসলামপন্থীরা অবহেলা করে চলেছে।

মুসলমান হওয়ার আগে সে কে ছিল? বলা হয়, আমরা বৌদ্ধ অথবা নিম্নবর্ণের ‘লোক’ ছিলাম। ভারতবর্ষের অন্যান্য ভাষিক জনগোষ্ঠীর তুলনায় বাঙালির চেহারা-অববয়ব এত বৈচিত্রপূর্ণ হলো অথচ আমাদের স্মৃতিতে সেই বায়োলজিক্যাল মিশ্রণের নথিপত্র নেই। মনে হয়, আকাশ ফুরে হঠাৎ বাঙালি মুসলমানের আগমন হয়েছে নদীয়ায়, রোসাঙ্গে। বাঙালি মুসলমানের ভাবাদর্শে আছে লালনের প্রভাব, ময়মনসিংহ গীতিকার সমাজ, আছে নাথপন্থার জিন। আছে সুফি ও ভক্তিবাদের ভাব। বাঙালি মুসলমান সহজিয়া ধারার, তার ইসলামচেতনাও স্বভাবজাতভাবে ‘সহজিয়াসাম্যবাদী’। আরো আরো সংশ্রব আছে যার নিশানা আমরা জানি না। বাঙালি মুসলমান ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থার বিপরীতে কওমের শিক্ষা প্রবর্তন করেছে। তারাই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিন্দু শরৎ বসুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে অখণ্ড ‘বাংলা দেশ’ গঠন করতে চেয়েছিল। তারা কৃষক-প্রজা পার্টি সমর্থক ছিল। তারা মুসলিম লীগ গঠন করেছে। মাওলানা ভাসানী নিজ হাতে ‘মুসলিম’ শব্দ তুলে আওয়ামী লীগ হতে চেয়েছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলার শেষ বাঙালি মুসলমান রাজনীতিবিদ। এ সমস্তের উত্তরাধিকার বাঙালি মুসলমান সমাজ।

ঔপনিবেশিক সূত্রে পাওয়া জমিদারি ব্যবস্থার একুমুলেশনে গড়ে ওঠা ‘কলকাতা’ শহর আর কলোনি মা‌স্টারের শাসনে অভিভূত ‘এনলাইটমেন্ট’- এই দুইয়ের ঔরসে বাংলার যে বাবুসংস্কৃতি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটাকেই ‘বাঙালি সংস্কৃতি’ বলে চাপানো হয়। এরাই বাংলার সেক্যুলার সমাজ। আর যে জনগোষ্ঠী বাবু আর কলোনির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, জমি অধিকারের লড়াই থেকে যার ইমান-আকিদায় দীক্ষা। সেই ‘প্রান্তিক’ জনমণ্ডলীই বাংলার ইসলামি সমাজ। এই বাঙালি মুসলমান সমাজের ইমান-আকিদার সাথে তার জাতীয় ভাবাদর্শের কোনো মারামারি ছিল না। তাই বাঙালি মুসলমানের লড়াই নিজের মধ্যে নিজে ফিরে আসারও। এই পরিক্রমণই ন্যায়যুদ্ধ- জেহাদে সিলসিলা।

‘বাঙালি সংস্কৃতি’র নামে 'ঔপনিবেশিক বাবুসংস্কৃতি' আমাদের ওপর কর্তৃত্ব করছে। এখন ‘বাঙালি মুসলমান' ডাকনামে হাজির এই সত্তাটির কাজ হলো বাংলার ‘আসল’ উত্তরাধিকারীর হক প্রতিষ্ঠা করা। একদিকে তাকে যুদ্ধ করতে হবে ‘সেক্যুলার’ মডার্নিজমের বিরুদ্ধে, একইভাবে লড়তে হবে ইসলামের ‘ধর্মীয়’ রিয়াকশনারিস্টদের সাথেও।

লেখক: কবি সংবাদমাধ্যমকর্মী

প্রথম পর্ব: আদ-দ্বীন আন নাসিহাহ: মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলামপন্থার সংকট

এআরকে

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ