শেখ ফজলুল করীম মারুফ
কেউ যখন নিজের পরিচয় হিসেবে "সুন্নিয়ত" বা " কওমিয়াত" কে সামনে আনে তখন তার প্রতি আমার করুণা হয়!
কেউ যখন নিজেকে "সুন্নিয়ত" এর জিম্মাদার বা "কওমিয়াত" এর ধারক-বাহক পরিচয় দিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিষেদগার করে তখন আমি অবাক হই!
এরা কি অদ্ভুত কল্পলোকে বাস করছে!!
মিলাদ-কিয়াম নিয়ে বাহাসের বিষয়টা আমার পছন্দ হয় নাই। এই বহাসের বিষয় বস্তু হলো, একদল দাবী করেছেন "মিলাদ-কিয়াম মুস্তাহাব ও মুস্তাহসান" আরেকদল দাবী করেছেন, " এটা পরিত্যাজ্য"।
একটা বিষয় মুস্তাহাব হওয়া আর পরিত্যাজ্য হওয়া নিয়ে এই যুগে বাহাস করা লাগবে?
মিলাদ-কিয়াম করে বা না করে কেউ মুরতাদ হচ্ছে না। কিন্তু এদেশে নাস্তিক্যবাদেরর খপ্পড়ে পড়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী মুরতাদ হয়ে যাচ্ছে। চারুকলাকে শিবসেনার আস্তানা বানানো হয়েছে, সুপ্রীম কোর্টের সামনে মুর্তি স্থাপন করে শিরিকি চেতনা প্রবেশ করানো হচ্ছে। টকশোগুলোতে প্রকাশ্যে ইসলামের সমাজনীতি, সংস্কৃতিকে অস্বীকার করা হচ্ছে। হাওড়ে লাখ লাখ মুসলমান সর্বহারা হয়ে হাহাকার করছে।
বর্তমান সময়টা আরো নাজুক আরেকটি কারনে। বহু দিনের বঞ্চিত অধিকার কওমী মাদ্রাসার সনদের সরকারী স্বীকৃতি এই মাসেই ঘোষিত হয়েছে। এটার পরেই দেশের চিহ্নিত বদমাইশ, বামপাড়ার গোঁয়াড়গুলো ঘোঁৎ-ঘোঁৎ শুরু করেছে। রাজনৈতিক স্বার্থে কথিত ইসলামী মুল্যবোধের বহু রাজনৈতিক শক্তি তাদের সাথে কোরাস তুলেছে। দেশের আলিয়া ধারায় পড়াশোনা করা লাখো আলেম-উলামাগন হটাৎ করেই একটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।
এমন মুহুর্তে এই বিষয় নিয়ে বহাস আয়োজন করার কি এমন দরকার ছিলো? আমার জানা মতে এটা বড় কেউ আয়োজন করেন নাই। উভয় পক্ষে যাদের নাম এসেছে তাদের অনেকেই বলেছেন যে, তারা এই আয়োজন সম্পর্কে জানেন না। খুব সম্ভবত আবেগী দুই সমর্থকের তর্কের এক পর্যায়ে এটা লিখিত-পড়িত হয়েছে!!
সবচেয়ে ভালো হয় এই বাহাসটা না হলে। আর হলেও এটা নিয়ে হইহুল্লোড় করার কিছু না। এখানকার হারজিত নিয়ে হাউকাউ করার কিছু নাই। এবং অবশ্যই এটাকে নিয়ে বিদ্যেষমমুলক আলোচনা বন্ধ করা হোক।
সর্বোচ্চ এটাকে একটা "ইলমী আলোচনা" হিসেবে গ্রহন করা হোক।