সম্প্রতি তুরস্কে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির শাসনব্যবস্থায় যাওয়ার ব্যাপারে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। গণভোটে বিজয়ী হওয়ায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানিয়েছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এটি খুবই আনন্দের বিষয়। এ বিজয়ের জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, এই গণভোটে সমর্থনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের নেতৃত্বের প্রতি তুরস্কের জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটেছে।
তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে আমাদের দু’দেশের ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক উভয় দেশের জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে নতুন উচ্চতায় উপনীত হবে বলে আমি আন্তরিকভাবে আশাবাদী। পাশাপাশি অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, প্রযুক্তিগত, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা এবং সাংস্কৃতিক খাতে সহযোগিতা জোরদার হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট, তাঁর পরিবারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং ভ্রাতৃপ্রতিম তুর্কি জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
রোববার তুরস্কে অনুষ্ঠিত গণভোটে দেশটির ৫১.৫ শতাংশ ভোটার হ্যাঁ ভোট দিয়েছেন বলে ওইদিন রাতে ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। পার্লামেন্টারি শাসনব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির শাসনব্যবস্থায় যাওয়ার ব্যাপারে সংবিধানের ১৮টি ধারা সংশোধন প্রশ্নে ওই গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্কের বিরোধীদলগুলো অভিযোগ করছে, নিজেকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী করার জন্যই এরদোগান এ গণভোট দিয়েছেন।
গত জানুয়ারি মাসে তুর্কি পার্লামেন্ট সেদেশের সংবিধানের ১৮টি ধারায় বড় ধরনের পরিবর্তন অনুমোদন করে। সংবিধান সংশোধনের পক্ষে ৩৩৯ এবং বিপক্ষে ১৪২ ভোট পড়ে। ওই সংশোধনী জনগণ পছন্দ করে কিনা তা জানার জন্য রোববারের গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।
[কওমি আলেমদের হীনম্মন্যতায় ভোগার দিন শেষ: আল্লামা আহমদ শফী]
[গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণ প্রশ্নে কি এক হচ্ছে ইসলামী দলগুলো?]
এসএস/