শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই’ শরীরে রক্ত বাড়াতে যেভাবে পালং শাক খাবেন ‘প্রকৃতপক্ষে ভুল হলে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’

'নাস্তিকদের 'তেঁতুল তত্ত্বে'র একটি বৈজ্ঞানিক পোস্টমর্টেম'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আরিফ আজাদ

বাংলা নাস্তিক পাঁড়ায় আল্লামা শফীকে 'তেঁতুল হুজুর' বলে ডাকা হয়। 'তেঁতুল হুজুর' ডাকটা তাদের মাঝে এতোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে, এটা নিয়ে রীতিমত দাঁড়ি-টুপি ওয়ালা কার্টুন করেও তারা আল্লামা শফী হুজুরকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে থাকে।
এর কারণ হচ্ছে, কোন এককালে শফী হুজুর মেয়েদেরকে 'তেঁতুল' এর সাথে তুলনা করেছিলেন।
তেঁতুল দেখলেই যেমন মানুষের জিভে জল চলে আসে, তেমনি মেয়ে মানুষ দেখলে পুরুষদের মধ্যেও এরকম একটা ফিলিংস তৈরি হয়।
শফী হুজুরের কথাটা যতোটা না স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড, তারচেয়ে বেশি মেটাফোরিক্যাল (রূপক)।
মানুষ স্বভাবতই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষিত। এই চরম সত্য কথাটি অকপটে স্বীকার করায় শফী হুজুরকে বাংলা নাস্তিক সমাজ রীতিমত হাসাহাসির বস্তুতে পরিণত করেছে।

সে যাকগে!! শফী হুজুরের গাঁয়ে তেঁতুল তত্ত্বের তকমা আপাতত থাক।
চলেন আমরা এবার একটু 'বিজ্ঞান' করে আসি।
বাংলা নাস্তিক সম্প্রদায়, যাদের বেশিরভাগই ইন্টার লেভেল এবং কলা অনুষদে পড়া, যারা আবার কথায় কথায় আমাদের 'বিজ্ঞান' শেখাতে প্রস্তুত হয়ে থাকে, তারা সবসময় একটি টার্ম খুব ইউজ করে। সেটি হলো- পিয়ার রিভিউড জার্নাল।
বিজ্ঞানের কোন বিষয় কোন পিয়ার রিভিউ জার্নালে প্রকাশ হওয়া মানেই বাংলা নাস্তিকদের কাছে তা ইশ্বরের বাণীর মতোই ধ্রুব সত্যের মতো। যখন কেউ তাদের কাছে এসে কিছু জিজ্ঞেস করে, তারা বলে, - 'পিয়ার রিভিউ জার্নাল থেকে প্রমাণ দেন।'

আমেরিকার University Of Chicago তে একটি রিসার্চ চলে। এই রিসার্চ প্রকাশিত হয় বৈজ্ঞানিক জার্নাল 'Evolution & Human Behavior' এ। টপিক ছিলো- 'Behavioral and hormonal responses of men to brief interactions with women'
এই স্ট্যাডি চালিয়েছিলেন James R. Roney, Stephen V. Mahler, Dario Maestripieri ।

এই স্ট্যাডিতে পুরুষ এবং মহিলাদের উপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সরেজমিনে এই সমীক্ষা চালাতে গিয়ে উঠে এসেছে দারুন কিছু তথ্য।
(এই স্ট্যাডি কীভাবে, কতোজনের উপরে চালানো হয়েছিলো তা বিস্তারিত ব্যাখার দাবি রাখে। আমি কমেন্ট বক্সে লিঙ্ক দিয়ে দিলাম। আগ্রহীরা পড়ে নিবেন)।
স্ট্যাডি বলছে, পুরুষরা (সমীক্ষাটা চলেছিলো বেসিক্যালি ১৮-৩৬ বৎসর বয়সীদের মধ্যে) যখন মহিলাদের নিকটে থাকে, সংস্পর্শে আসে, তখন পুরুষদের মধ্যে Hormonal Response টা তীব্র হয়ে উঠে।
তারা ব্যাপারটার কনক্লুশান দিতে গিয়ে লিখেছে -
' This study represents one of the first attempts to assess hormonal and behavioral reactions of men to brief interactions with women. Results were generally consistent with the possibility of a mating response in human males. Men in the female condition showed a significant increase in testosterone over baseline levels and were rated as having expressed more polite interest and display behaviors than were men in the male condition. In addition, those men who were rated as having directed more courtship-like behaviors toward their female conversation partners also showed more positive changes in T levels and rated the female confederates as more attractive romantic partners. No such relationships were significant in the male condition.'

অর্থাৎ, পুরুষদের মহিলাদের প্রতি যে testosterone ( testosterone হচ্ছে পুরুষদের সেক্স হরমোন) আপিল আছে, তা স্ট্যাডি কন্ডিশনে খুবই ফলপ্রসূ এবং পজিটিভ হিসেবে দেখা গেছে।

এই স্ট্যাডি বা রিসার্চ যারা করেছে তারা কিন্তু সবাই বিবর্তনবাদী। তারা দেখিয়েছে, মহিলাদের প্রতি পুরুষদের একটা আপিল থাকে। আপিলটা hormonal. আলাদাভাবে testosterone বা পুরুষদের সেক্স হরমোনাল।

শুধু তাই নয়, ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি মেইল বিজ্ঞানীদের রেফারেন্স দিয়ে শিরোনাম করেছে 'Pretty women make a man's mouth water'

হাহাহা। অর্থাৎ, সুন্দরী মহিলা পুরুষের মুখে লালা ঝরায়।

সুতরাং, তাদের গবেষণা মতে , নারীরা পুরুষদের কাছে খুবই লোভনীয়। এই স্ট্যাডি এত্তো এত্তো গবেষণা করে যা বুঝায়, শফী হুজুরের 'তেঁতুল তত্ত্ব' ও কিন্তু ঠিক একই জিনিসই বুঝায়। সুতরাং, যে সকল বাংলা নাস্তিক শফী হুজুরকে 'তেঁতুল হুজুর' বলে গালি দেন, ব্যঙ্গ করেন, তারা University Of Chicago' এর এই স্টাডি, এর প্রাপ্ত ফলাফল, এবং Elsevier এ তা প্রকাশ হওয়াকে ঠিক কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন জানতে পারি? :-)

বিঃ দ্রঃ (এখন থেকে কেউ যদি শফী হুজুরকে 'তেঁতুল হুজুর' বলে ব্যঙ্গ করে, তারে জার্নালের এই লিঙ্কটা ধরাই দিবেন যদি সে আংরেজি (ব্যঙ্গার্থে) পড়তে পারে)

লেখকের ফেসবুক ওয়াল থেকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ