আতাউর রহমান খসরু : গত ১১ এপ্রিল কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সনদের মান দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ ঘোষণা ও প্রজ্ঞাপনে লাখো কওমি তরুণের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো বলেই মনে করছেন অনেকেই। স্বপ্ন, আশা ও প্রত্যাশার সাথে সামনে আসছে কৃতজ্ঞতার বিষয়টিও। যাদের শ্রম, ত্যাগ ও অবদানে স্বীকৃতি এ পর্যায়ে এসেছে তাদের সংবর্ধিত করার প্রশ্নটিও আসছে সামনে। কওমি সনদের স্বীকৃতিকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে আসতে যারা অবদান রেখেছেন তাদের কাউকে কাউকে সংবর্ধনাও দেয়া হচ্ছে কোথাও কোথাও।
স্বীকৃতিকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে আসার পেছনে যে কয়টি নাম উচ্চারিত হচ্ছে তাদের অন্যতম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। গত ১৬ এপ্রিল খুলনা আলেমগণ সংবর্ধনা দেন তাকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক মাওলানা আবুল কাসেম।
এমন আরও একাধিক আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যাচ্ছে। দেশের ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আলেমগণ স্বীকৃতি অবদান রাখায় এক বা একাধিক আলেমকে স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে স্বীকৃতি যে পর্যায়ে রয়েছে এখনই সংবর্ধনাকে যৌক্তিক মানছেন না অনেকে।
এ বিষয়ে স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব শায়খুল হাদিস মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ আওয়ার ইসলামকে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, স্বীকৃতি এমন কোনো পর্যায়ে পৌঁছেনি যার কারণে সংবর্ধনা দেয়া ও নেয়া যেতে পারে।
তিনি বলেন, স্বীকৃতি এখনো সূচনা পর্যায়ে রয়েছে। যতদিন না আইন হিসেবে সংসদের অনুমোদন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেন ততোদিন আমাদের উৎফুল্ল হওয়ার সুযোগ নেই।
‘আমি মনে করি এখনো সে সময় আসে নি’ এমনটাই জানালেন মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ।
আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের সংবর্ধিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, হুজুর সংবর্ধনার প্রত্যাশা করেন না। কিন্তু এ দেশের আলেমদের বড় একটি অংশ তাকে স্বীকৃতির প্রাণপুরুষ মনে করেন। স্বীকৃতির ঘোষণার পর বেফাকের স্বীকৃতি বিষয় বৈঠকগুলোতে তার নাম প্রসংশার সঙ্গে উচ্চারিত হয়েছে। এজন্য অনেকেই তাকে সংবর্ধনা দেয়ার কথা ভাবছেন ও দিচ্ছেন।
কওমি স্বীকৃতিতে অবদানের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংবর্ধিত হচ্ছেন ৫ আলেম
ব্যানার ধরার লোক নেই ছাত্রসেনার মানববন্ধনে