রোকন রাইয়ান
সাংবাদিক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য দুর্বৃত্তরা ভাঙেনি, দাবি আদায়ে চারুকলার শিক্ষার্থীরািই ওইগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে।
আগে ধারণা করা হতো অন্যরা মূর্তি ভেঙে ইসলামপন্থীদের কোনঠাসা করার উপায় বের করতো, এখন এগুলো বাস্তবে পরিণত হচ্ছে :)
আরো কিছু বিষয় আছে- যেগুলো দিয়ে বামপন্থীরা ডানপন্থীদের কোণঠাসা করে থাকেন। কিন্তু খোলা চোখে বিষয়গুলো দেখলেই ক্লিয়ার হবে নিকৃষ্ট ওই বিষয়গুলো ডানপন্থীদের মধ্যে একেবারেই নাই আছে বামপন্থীদের মধ্যে।
উদাহরণ
০১. ডানপন্থীরা মূর্তি সরাতে বলছেন কিন্তু তারা দাবি করছেন না মূর্তি সরিয়ে সেখানে কুরআনের প্রতিকৃতি বসাতে হবে। এটা তাদের উদারতা। তবে বামপন্থীরা সিংহভাগ মানুষের পছন্দের বাইরে যায় হুট করে এমন মূর্তিকে বসিয়ে দিল সুপ্রিমকোর্টে।
০২. বলা হচ্ছে ডানপন্থীরা পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করেছে, ইসলামাইজেশন করতে চাচ্ছে, হেঙ্কা তেঙ্কা.. । বাস্তবে তারা পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তনের আন্দোলন করেনি বরং আগে যেসব নৈতিক বিষয়গুলো সরানো হয়েছে তা পুনস্থাপনের আন্দোলন করছেন।
০৩. টকশোতে ড. মুনতাসির মামুন বললেন, হিন্দু লেখকদের নিয়ে ইসলামপন্থীদের আপত্তি এ জন্য হিন্দুদের সব লেখা সরানো হচ্ছে। বিষয়টা আগাগোড়াই ভুল কারণ আমি আমার জন্মের পর থেকে দেখে আসছি রবীন্দ্রনাথ, মধুসুদন, মানিক পড়ানো হয় পাঠ্যবইতে, কিন্তু কখনো আপত্তি করেনি কেউ। আপত্তি করেছে ইসলামি বা নৈতিক কিছু গল্প-প্রবন্ধ বিলুপ্তির পর।
০৪. বাপন্থীরা দাবি করে তারা সবার অধিকারে বিশ্বাসী। এতদিন কওমি মাদরাসাকে মূল ধারায় যুক্ত নয় বলে আগে কটাক্ষ করতো কিন্তু এখন স্বীকৃতির পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। অথচ একজন নাগরিকের মৌলিক দাবি শিক্ষা, সেটার সূচনায় তাদের সাধুবাদ না দিয়ে বরং পিছু লেগেছে এটাকে কিভাবে বাতিল করা যায়। জাসদ নেতারা দেখলাম পিতাহীন সন্তানের মতো গালিগালাজও করে বেরাচ্ছেন :D
০৫. ইসলামপন্থীরা কখনো শুকরের গোশত বন্ধ করতে বলেনি, নিজেরা খাওয়া থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেছে। অথচ বামপন্থীরা মুসলিমদের জন্য হালাল গরুর গোশত খাওয়া বন্ধ করছে এবং হোটেলগুলোকে ‘নোবিফ’ বানাচ্ছে।
০৬. ডানপন্থীরা স্কুল কলেজগুলো বা রাস্তায় কখনো খোলামেলা পোশাকের ছাত্রীদের বাধ্য করেনি হিজাব পরতে কিন্তু বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের বামপন্থীরা হিজাবীদের হিজাব বা বোরকা টেনে খুলছে বা সেটা বর্জন করতে উৎসাহিত করছে।
এরকম আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে, নিজ দায়িত্বে আশেপাশে তাকিয়ে একটু মিলিয়ে দেখুন। কারা উগ্র আর কারা নমনীয় বের হয়ে আসবে। 🙂
ফেসবুক টাইমলাইন থেকে
বাহাসের যুগ পেরিয়ে টকশো এবং আমাদের প্রস্তুতি!