তুরস্কে গণভোটে জয়ী হয়েছেন এরদোয়ান। দেশটির ইতিহাসে রাজনৈতিক পদ্ধতির সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ঘটল ১৬ এপ্রিল।
গণভোটে প্রেসিডেন্টের শাসিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এরমাধ্যমে বাতিল হয়ে গেল সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫১.৩ শতাংশ ‘হ্যাঁ’ ভোট পেয়ে কার্যত আরও ১২ বছর প্রেসিডেন্টের কুর্সি পাকা করে নিয়েছেন রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান। এরদোয়ান প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন অন্তত ২০২৯ সাল পর্যন্ত।
রবিবার ইস্তাম্বুলে ভোট দেবার সময় তুর্কি এরদোয়ান আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্ককে স্মরণ করেন। পরে তিনি বলেন, এটি কোনও সাধারণ ভোট নয়, তুরস্ককে আরও সমৃদ্ধ করতে আমরা আতাতুর্কের স্বপ্ন পূরণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
কি আছে সেই সংবিধানে?
- খসড়া অনুযায়ী আগামী ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন।
- প্রতি মেয়াদে ৫ বছর করে অন্তত দুই মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে পারবেন প্রেসিডেন্ট। ফলে নির্বাচনে জিতলে ২০২৯ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন মি. এরদোয়ান।
- মন্ত্রী-সহ সকল শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা প্রেসিডেন্ট সরাসরি নিয়োগ করতে পারবেন।
- কয়েকজন ভাইস-প্রেসিডেন্টও মনোনীত করতে পারবেন প্রেসিডেন্ট।
- প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বলে কিছু থাকবে না আর। বর্তমানে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন বিনালি ইলদিরিম।
- বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা থাকবে প্রেসিডেন্টের।
- জরুরি অবস্থা জারি করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৫-১৬ জুলাই সামরিক অভ্যুত্থান দেখেছিলেন তুরস্কের বাসিন্দারা। সংঘর্ষে ২৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। অভ্যুত্থান দমিয়ে দেয়ে সরকার। তারপর থেকে বারে বারে নাশকতায় রক্তাক্ত হয়েছে তুরস্ক। ভৌগলিক অবস্থার কারণে তুরস্কের নিয়ে বিশেষ নজর করে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবার তাদের বন্ধু এরদোগান আরও শক্তিশালী হলেন।
কূটনীতিকদের ধারণা, প্রবল ক্ষমতা লাভ করা এরদোয়ানকে দিয়েই পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ঘুঁটি আরও শক্ত করবে ওয়াশিংটন।
পৃথক সংস্থার অধীনে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা ও সনদ
তুরস্ক : উসমানি খেলাফতের সমাধি থেকে আজ (১)