নাঈম ইসলাম
এই হাদিসটা পড়ে রীতিমতো আমার খাওয়া ঘুম অনেকটা হারাম হয়ে গেছে ।
হযরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা. সাহাবায়ে কেরাম রা. দের জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমরা কি জান নিঃস্ব কে?
সাহাবায়ে কেরাম (রাযিঃ) আরজ করিলেন, আমাদের নিকট নিঃস্ব তো ঐ ব্যাক্তি যাহার কোন টাকা-পয়সা ও দুনিয়ার সম্বল নাই ।
নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করিলেন, আমার উম্মতের মধ্যে নিঃস্ব ঐ ব্যাক্তি যে কেয়ামতের দিন অনেক নামায, রোযা, যাকাত ও অন্যান্য মকবুল এবাদত লইয়া আসিবে কিন্তু তাহার অবস্থা এই হইবে যে, সে কাহাকেও গালি দিয়াছে, কাহাকেও অপবাদ দিয়াছে, কাহরো মাল ভক্ষন করিয়াছে, কাহারো রক্তপাত ঘটাইয়াছে, কাহাকেও প্রহার করিয়াছে ।
তখন এক হকদার কে তাহার হক পরিমাণ তাহার নেকী হইতে দেওয়া হইবে, অনুরুপ আরেকজন হকদারকে তাহার হক পরিমান তাহাকে নেকী দেওয়া হইবে ।
শেষ পর্যন্ত যখন তাহাদের হক আদায়ের পূর্বে তাহার নেকী শেষ হইয়া যাইবে তখন ঐ সমস্ত হক পরিমাণ হকদার ও মজলুমদের গুনাহ যাহা তাহারা দুনিয়াতে করিয়াছিল তাহাদের নিকট হইতে লইয়া ঐ ব্যাক্তির উপর চাপাইয়া দেওয়া হইবে অতঃপর তাহাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করিয়া দেওয়া হইবে ।
-মুসলিম শরীফ, হাদিস নং ২৫৭৯
এই হাদীস পড়ার পর আমি এতটা ভীতসশস্ত্র হয়ে পড়েছি যা কখনো কোন হাদীস পড়ে হয়নি।
কবুল নামাজ, রোযা, সদকা, কোন কাজেই আসবেনা যদি কাউকে গালি দিয়ে থাকি, কারো জিনিস মেরে দিয়ে থাকি, বা কাউকে অপবাদ দিয়ে থাকি।
এত বড় জীবনে তো টুক টাক হবেই, অন্যদের ক্ষেত্রে কি অবস্থা আল্লাহ জানে, যদি এগুলার হিসাব নেয় তাহলে আমি আপনি শেষ।
দুনিয়াতে নেকি কামাইতে পারেন নাই তো দিবেন কি? তার গুনাহগুলো নিবেন, সোজা হিসাব, জিনা ব্যাভিচার না করেও এসবের গুনাহ নিয়েও যেতে হতে পারে ।
মানুষ প্রতিনিয়ত হইতো নেকী কামায় নয়তো গুনাহ কামায় যায় কামাক সবার আগে মানুষের হকের দিকে নজর দিতে হবে, রিক্সা ওয়ালা কে অটো ওয়ালা কে জোর করে ৫ টাকা কম দিবেন, বাসে ভাড়া মারবেন, ট্রেইনে টিকেট না কেটে টিটি রে ৫০-৬০ টাকা ধরাই দিবেন, এগুলা কি হক মারতেছেন না?
ব্যক্তি মারলে ব্যাক্তি হক দিতে হবে, সরকারকে কে মারলে ১৬ কোটি জনতা কে দিতে হবে । সব ধরা হবে ।
তোমাদের জীবন ও মৃত্যু এইজন্য দেয়া হয়েছে যে আমি তোমাদের পরীক্ষা করে দেখবো তোমরা কে কত ভালো আমল নিয়ে আমার কাছে আসতে পারো ।
-সূরা মূলক
নাঈম ইসলাম এর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে