সরাসরি যুদ্ধ না বললেও সেরকম আশঙ্কাই করছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন যুদ্ধ শুরু হলে তাতে কেউই জিতবেনা।
মূলত উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর বার্তাগুলো থেকেই যুদ্ধের ইঙ্গিত পাচ্ছে চীন। কোরীয় উপত্যকায় আরেকটি পরমাণু পরীক্ষার প্রস্তুতির জের ধরে কঠোর অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষেপণাস্ত্র সহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এর আগে জাপান সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর যুক্তরাষ্ট্র বলেছিলো উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে তারা একাই ব্যবস্থা নিতে সক্ষম।
সর্বশেষ এখন পরমাণু পরীক্ষার প্রস্তুতিতে নৌবাহিনীর জাহাজ কোরীয় উপত্যকায় অবস্থান নেয়ার পর সোচ্চার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আর তারই জের ধরে ওই অঞ্চলে এখন যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখছে চীন, যে দেশটি দীর্ঘকাল ধরে উত্তর কোরিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, "যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। মনে হচ্ছে যে কোন সময় একটা সংঘাত দেখা দেবে"।
তিনি উত্তেজনাকর ও উস্কানিমূলক হুমকি দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্যও সব পক্ষের প্রতি আহবান জানান।
এদিকে মঙ্গলবারই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট বার্তায় বলেছেন একা ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্র ভীত নয়।
তিনি বলেন, "চীন সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিলে ভালো। নইলে তাদের ছাড়াই আমরা সমস্যার সমাধান করবো"।
বিবিসি বাংলা