রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


রাতেই ফাঁসি; কাশিমপুর কারাগারে ঢুকেছে অ্যাম্বুলেন্স, কড়া নিরাপত্তা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান ফটক দিয়ে দুইটি অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করেছে।

ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুল ইসলাম বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে কারাগারে ঢুকেছিলেন। তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন।

গাজীপুরের এসপি হারুনুর রশিদ কারাগারে উপস্থিত হয়েছেন আজ সন্ধ্যা পৌণে সাতটার দিকে। এদিকে রাত আটটার দিকে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন কারাগারে প্রবেশ করেছেন। ফাঁসির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

আজ বুধবার রাত ১০টার দিকে ফাঁসি কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কারা মসজিদের পেশ ইমাম হেলাল উদ্দিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের তওবা পড়াবেন বলে জানা গেছে। এদিকে জেলখানা রোডে যানবাহন চলাচল ও আশেপাশের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে।

এর আগে বুধবার দুপুর দুইটার দিকে দুই ভাইয়ের সঙ্গে মুফতি হান্নানের সাক্ষাৎ করানো হয়। এরা হলেন- একই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে থাকা বন্দি মো. মহিবুল ও গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের বন্দি মো. আনিস।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। এতে পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হন। এ মামলার রায়ে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর আদালত পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

আরআর

মুফতি হান্নানের কবর খোঁড়া শেষ!


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ