রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


'বিবৃতি যথেষ্ট নয়, মিয়ানমারের ওপর কঠোর চাপ সৃষ্টি করতে হবে'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

mianmar

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সাম্প্রতিক সেনা অভিযানের সময় আটক রোহিঙ্গা শিশুদের মুক্তি দেয়ার জন্য দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ।

সংস্থাটির উপ-নির্বাহী পরিচালক জাস্টিন ফরসিথ রোববার মিয়ানমারে এক সংক্ষিপ্ত সফরে গিয়ে বলেন, দেশটির ‘বুটিডাওং’ কারাগারে অন্তত ১২টি রোহিঙ্গা শিশুর আটক থাকার খবর তিনি রিপোর্ট আকারে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি’র কাছে হস্তান্তর করেছেন। ওই রিপোর্টে এসব শিশুকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান ফরসিথ।

রাখাইন প্রদেশে সাম্প্রতিক সেনা অভিযানে ৬০০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানকে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী।

আল্লাহর সাহায্য চাইছে রোহিঙ্গা শিশুরা

এই প্রদেশে বসবাসকারী মুসলমানদের বিরুদ্ধে ২০১২ সাল থেকে সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় সহিংসতা চলছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা করা, তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া এবং নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন এখন রাখাইন প্রদেশের নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে রোহিঙ্গা এডুকেশন ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম- এর সাধারণ সম্পাদক জমিরউদ্দিন জানান, ইউনিসেফের উল্লেখিত ১২ জন শিশু ছাড়াও আরো অনেক শিশু সেনাবাহিনীর হাতে আটক রয়েছে। তাছাড়া, সেনাবাহিনী ও উগ্র রাখাইনদের আক্রমণে অসংখ্য রোহিঙ্গা শিশুসহ নারী-পুরুষ নিহত হয়েছেন। অনেক শিশুকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। একটি জাতিগোষ্ঠীকে এভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেবার ষড়যন্ত্র থেকে বিরত রাখতে অন্তর্জাতিক মহলের শুধু বিবৃতিই যথেষ্ট নয়;  এ জন্য মিয়ানমারের উপর কঠোর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

কয়েকটি রোহিঙ্গা শিশু

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে রাখাইন প্রদেশের সরকারি বাহিনীর নির্যাতনের মুখে শত শত মুসলমান নিহত এবং হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এসব উদ্বাস্তুরা  মিয়ানমারের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে অশ্রয় নিয়েছে। কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান  বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াসহ প্রতিবেশী অন্যান্য দেশে পালিয়ে গেছেন। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে 'বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী' হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ।

সূত্র: পার্সটুডে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ