রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ইফার সমাবেশ ৩টায়; সারাদেশ থেকে উপস্থিত হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

olama-Sommelon20170406123105

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন বিকাল ৩টায় শুরু হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইতোমধ্যেই মহাসম্মেলনে যোগ দিতে দলে দলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন জড়ো হচ্ছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সকাল ১০টায় খুলে দেওয়া হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশপথ।

ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে মহাসম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পবিত্র মক্কার মসজিদে হারামের ভাইস প্রেসিডেন্ট শায়খ মুহাম্মদ বিন নাসির আল খুজাইম ও মদিনার মসজিদে নববির ইমাম ড. আবদুল মহসিন বিন কাসেম।

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, সম্মেলনের দিন দুটি রাস্তা বন্ধ রাখার পাশাপাশি ২৫টি স্থানে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

অনুষ্ঠানস্থল ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে এবং তিনটি কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। সম্মেলনে সোয়াত, বোমা ডিস্পোজাল ইউনিট ও অন্যান্য গোয়েন্দা টিমের সদস্যরাও থাকবেন।

সম্মেলনে উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন প্রবেশপথে বিলবোর্ড স্থাপন করে কোন জেলার কতজন ওলামা কোন গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন তা লেখা রয়েছে। চারুকলার বিপরীতে ছবির হাট সংলগ্ন ফুটপাত থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত খাবার পানির ট্যাংকি বসানো হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। ভোরে বাস ঢাকায় পৌঁছানোর কারণে ঢাকার বাইরে থাকা আসা অনেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

জানা গেছে, এবারের সমাবেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৫টি গেট দিয়ে সর্বমোট এক লাখ ৬ হাজার ৭৭৩ জন নিবন্ধিত মুসল্লি প্রবেশ করবেন। এর মধ্যে চারুকলা গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন ৩১ হাজার ২৬ জন আলেম। এর মধ্যে দিনাজপুরের দুই হাজার ৫ জন, পঞ্চগড়ের এক হাজার ৬৩ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের এক হাজার ৯২ জন, রংপুরের এক হাজার ৮৬ জন, কুড়িগ্রামের এক হাজার ছয়শ ৬৮ জন, নীলফামারীর এক হাজার চারশ ৩০ জন, লালমনিরহাটের এক হাজার একশ ৯৭ জন, বগুড়ার দুই হাজার একশ ৬ জন, জয়পুরহাটের ৯০৩ জন, গাইবান্ধার ১৮০৪ জন, ময়মনসিংহের ৩৩৯৭ জন, নেত্রকোনার ১৫৪৭ জন, কিশোরগঞ্জের ২০৫৪ জন, জামালপুরের ২০১৪ জন, শেরপুরের ১৪২০ জন, টাঙ্গাইলের ২২২৯ জন, মানিকগঞ্জের ১২৯৬ জন ও গাজীপুরের ১৭০৫ জন আলেম প্রবেশ করবেন।

টিএসসি গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন ২২ হাজার ১৫৩ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৮৮৪ জন, নাটোরের ১২৯৩ জন, চাপাইনবাবগঞ্জের ১২৩১ জন, নওগাঁর ১৭৮২ জন, পাবনার, ১৭৯৩ জন, সিরাজগঞ্জের ২০৬০ জন, কুষ্টিয়ার ১৩০৭ জন, চুয়াডাঙ্গার ৯০৫ জন, মেহেরপুরের ৬০৪ জন, খুলনার ১৮১২ জন, সাতক্ষীরার ১৫২২ জন, বাগেরহাটের ১২২৬ জন, যশোরের ১৮৩৪ জন, নড়াইলের ৬৩৬ জন, ঝিনাইদহের ১২৭১ জন ও মাগুরার ৯৪৯ জন আলেম প্রবেশ করবেন।

বাংলা একাডেমি গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন ৩৪ হাজার ৫২১ জন আলেম। এর মধ্যে ঢাকার ৬৪৩৫ জন, নারায়ণগঞ্জের ১৬৩৩ জন, মুন্সিগঞ্জের ১২৬২ জন, নরসিংদীর ১৩৯৪ জন, ফরিদপুরের ১৬৬২ জন, রাজবাড়ীর ৮৮২ জন, মাদারীপুরের ১১২৪ জন, শরীয়তপুরের ১১৩৭ জন, গোপালগঞ্জের ১৪৭২ জন, চট্টগ্রামের ৪৭৫০ জন, কক্সবাজারের ১৭৯৯ জন, বান্দবনের ৪৬৩ জন, নাঙ্গামাটির ৯৫৪ জন, খাগড়াছড়ির ৮৬৪ জন, বরিশালের ১৮৮৯ জন, ঝালকাঠির ৮৪৭ জন, ভোলার ১৭২৫ জন, পটুয়াখালির ১৬৫১ জন, পিরোজপুরের ১১৫৯ জন ও বরগুনার ১০১৯ জন আলেম প্রবেশ করবেন।

মন্দিরগেট দিয়ে প্রবেশ করবেন ১৯ হাজার ৭৩ জন আলেম। এর মধ্যে কুমিল্লার ৩৫৫৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার ২১০১ জন, চাঁদপুরের ১৭৩৪ জন, সিলেটের ২৬৩৮ জন, হবিগঞ্জের ১৬১৯ জন, মৌলভীবাজারের ১৪৮৯ জন, সুনামগঞ্জের ১৬৮৯ জন, নোয়াখালীর ১৮৯৩ জন, ফেনীর ১২৪৫ জন ও লক্ষ্মীপুরের ১১০২ জন আলেম প্রবেশ করবেন।

এছাড়া তিননেতার মাজার গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রলয়সহ অন্যান্য অফিসের দাওয়াত কার্ডপ্রাপ্ত অতিথিরা।

আরআর

ছবিতে জেদ্দাহ হেরিটেজ ফেস্টিভাল

কওমি স্বীকৃতির ঘোষণা ১১ এপ্রিল


সম্পর্কিত খবর