দেশের সব জেলা, সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলায় একই মডেলের আধুনিক মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পে সব মিলিয়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মিত হবে।
জানা গেছে, মসজিদগুলোর মধ্যে দেশের ৬৪টি জেলায় ও উপকূলীয় এলাকায় ১৬টি চারতলা বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ করা হবে। অবশিষ্ট মসজিদগুলো হবে তিনতলা বিশিষ্ট। এসব মসজিদে প্রতিদিন চার লাখ ৪০ হাজার ৪৪০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারীর নামাজের ব্যবস্থা থাকবে।
বাংলা নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নির্মিত মসজিদগুলো হবে তিন ক্যাটাগরিতে। এ-ক্যাটাগরিতে ৬৮টি চারতলা বিশিষ্ট মডেল মজজিদে থাকবে লিফট। এগুলো নির্মাণ হবে ৬৪টি জেলা শহরে এবং চারটি সিটি কর্পোরেশন এলাকায়। এগুলোর আয়তন হবে দুই লাখ ৮১ হাজার ৫৮৪ বর্গমিটার। এক লাখ ৬৪ হাজার ৭৪২ বর্গমিটার আয়তনের বি-ক্যাটারির মসজিদ হবে ৪৭৬টি। আর ৬১ হাজার ২৫ বর্গমিটার আয়তনের সি ক্যাটাগরির মসজিদ হবে ১৬টি।
প্রস্তুতি সম্পন্ন; কওমি স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ১১ এপ্রিল
‘গরুর গোশতের মতো দেশে মদ, নেশা, অশ্লীলতাও বন্ধ করুন’
লাইব্রেরি সুবিধাও থাকবে মডেল মসজিদগুলোতে। প্রতিদিন ৩৪ হাজার পাঠক এক সঙ্গে কোরআন ও ইসলামিক বই পড়তে পারবেন। ইসলামিক বিষয়ে গবেষণার সুযোগ থাকবে ৬ হাজার ৮০০ জনের। ৫৬ হাজার মুসল্লি সব সময় দোয়া, মোনাজাত করাসহ তসবিহ পড়তে পারবেন।
মসজিদগুলো থেকে প্রতি বছর ১৪ হাজার হাফেজ তৈরির ব্যবস্থা থাকবে। আরো থাকবে ইসলামিক নানা বিষয়সহ প্রতিবছর ১ লাখ ৬৮ হাজার শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা। ২ হাজার ২৪০ জন দেশি-বিদেশি অতিথির আবাসন ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে প্রকল্পের আওতায়। পবিত্র হজ পালনের জন্য করা হবে ৫০ শতাংশ ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা।
এসব মসজিদে আরো থাকবে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, মৃতকে গোসল করানোর কক্ষ। উপকূলীয় এলাকার মসজিদগুলোতে নিচ তলা ফাঁকা থাকবে।
এ প্রসঙ্গে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল মিডিয়াকে বলেন, ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণে সৌদি বাদশা ৮ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা নির্মাণ খরচ দেবেন। আমাদের সরকার ১ হাজার ২৯ কোটি দেবেন ভূমি অধিগ্রহণের জন্য। সৌদি বাদশার অনুদানের বিষয়টি অনেকটাই চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সৌদির দুই ইমাম বাংলাদেশে এসেছেন অনুদানের বিষয়টা আরও এগিয়ে যাবে। আমরা আশা করছি আগামী একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটি) প্রকল্পটি সভায় ‘ইস্টাবিলিসিং ৫৬০ মডেল মস্ক অ্যান্ড ইসলামিক কালচার সেন্টার ইন জেলা অ্যান্ড উপজেলা অব বাংলাদেশ’ প্রকল্প উত্থাপন করবো। আশা করছি দ্রুত সময়েই প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে।
আরআর