সীতাকুণ্ডের চৌধুরী পাড়ার প্রেমতলায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘অপারেশন অ্যাসল্ট সিক্সটিন’ চলছে। দফায় দফায় চলছে বোমা বিস্ফোরণ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে পাল্লা দিয়ে গুলি ছুঁড়ছে জঙ্গিরা।
অভিযানের এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে দুই জঙ্গি নিহত হন বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ঢাকার অতিরিক্ত উপকমিশনার আবদুল মান্নান।
আবদুল মান্নান আরও জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আইনশৃংখলা বাহিনী বাড়িটিতে ঢোকার চেষ্টা করলে জঙ্গিরা বোমার বিস্ফোরণ ও গুলি চালাতে শুরু করে। আইনশৃংখলা বাহিনী আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই দুই জঙ্গি নিহত হন।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান শুরু করে। অভিযান শুরুর পরপরই বাড়ির ভেতর থেকে গুলি ও বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দ শোনা যায়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সেখানে অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছায়। এর কয়েক মিনিট পরই সোয়াত দলের আহত এক সদস্যকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
সীতাকুণ্ড শহরের প্রেমতলা ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়ার ‘ছায়ানীড়’ নামের একটি দোতলা বাড়িতে এই অভিযানে স্থানীয় পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে রয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা
এর আগে, বুধবার বিকালে সীতাকুণ্ড পৌর শহরে ‘জেএমবির জঙ্গিদের’ একটি আস্তানা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ জসিম ও আর্জিনা নামের এক দম্পতিকে গ্রেফতারের পর ওই বাড়িতে অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে গ্রেনেড হামলায় সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক আহত আহত হওয়ার পর থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখেন পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা। পরে রাতভর কয়েক দফায় জঙ্গিদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গোলগুলির ঘটনা ঘটে।
আরআর