আওয়ার ইসলাম : ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রাজধানীর কড়াইল বস্তি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ততোক্ষণে বস্তির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখনও অগ্নিকাণ্ডস্থলে ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা যাচ্ছে। পোড়া গন্ধে ভারি হয়ে উঠেছে বস্তির পরিবেশ।
বস্তির বউবাজার থেকে জামাই বাজার ও আরেকপাশে বউবাজার থেকে বাদলের নৌকাঘাট পর্যন্ত পুড়ে ছাই হয়েছে সব ঘর। স্থানীয়রা বলছেন, এ বস্তিতে যতোবার আগুন লেগেছে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল এবারের আগুন। এবার ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
গেল রাত দুইটার দিকে মসজিদের পাশের দুটি ঘরে আগুন লাগে। এ সময় মসজিদের মাইক থেকে সবাইকে এ খবর জানানো হয়। শত শত বস্তিবাসী মালপত্র নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বস্তিবাসীরা বলছেন, আগুনে অনেক ঘর পুড়ে গেছে।
রাত তিনটার দিকে সরেজমিনে বস্তির তিন দিকে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছিল। বেশির ভাগ বাড়ি টিন ও কাঠ দিয়ে তৈরি। রাস্তা সরু থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো ঢুকতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। বস্তির কেউ কেউ বলছেন, সিগারেট থেকে আগুন লাগতে পারে। কেউ বলছেন নাশকতা। আবার অনেকের মতে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ আজ সকালে জানান, এই মুহূর্তে আগুন লাগার কারণ বোঝা যাচ্ছে না। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে।
কড়াইল বস্তিতে অনেক মানুষ বাস করে। তাদের বেশির ভাগই স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী। প্রায় প্রতিবছরই এখানে অগ্নিকাণ্ড হয়। ২০১৬ সালের মার্চ থেকে এ বছরের ১৬ মার্চ পর্যন্ত এ নিয়ে তিনবার এই বস্তিতে আগুন লাগল। ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ এখানে আগুন লাগে। এরপর ৪ ডিসেম্বর আগুন লাগে।
-এআরকে