সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

আজ নারীবাদীরা চুপ কেনো? মুফতি ফয়জুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

fayzullahআওয়ার ইসলাম : হোলি ধর্মীয় উৎসবের আড়ালে সাধারণ পথচারী ও হিজাবধারী মুসলিম নারীদের উপর বখাটে যুবকেরা যে নৃশংস যৌন হয়রানি, নোংরামি, নারীর শ্লীলতাহানির ঘৃণ্য অপকর্ম করেছে,  দুঃসাহসিক অপরাধ করেছে, অন্যায়, অবিচার, কুৎসিত ও পাপকে পেশীশক্তির মাধ্যমে উপস্থাপন করার  ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে সেই বখাটে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে  মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেছেন যদি এর বিচার না হয়, তবে বাংলাদেশ তাদের ঈমান-আমল, মূল্যবোধ ও রুচির পরিচয় দিতে তাদের এসব অপকর্মের সমুচিত জবাব দিতে বাধ্য হবে।

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ এক বিবৃতিতে আরো বলেন, শয়তান চক্রের ঔদ্ধত্য প্রবল, তাদের বহুমুখী স্ট্রাটেজীও সফল। এই চক্রের অসভ্যতা কুৎসিত ও ঘৃণ্য অপকর্মে সেকুলার মিডিয়া ও তথাকথিত নারীবাদীরা নিশ্চুপ। বাম গোষ্ঠীও খুশিতে আত্মহারা। এই অবস্থা চলতে দেয়া যায় না।

মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেন, আমাদের আলিম-উলামা অন্য ধর্মাবলম্বীদের অধিকার রক্ষার বিষয়ে  এবং অমুসলিমের সাথে মুসলিমের নিরাপদ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি ও ইসলামের সম্পূর্ণ ইনসাফপূর্ণ ও স্বতঃসিদ্ধ বিষয়ে আগে থেকেই বলে আসছেন। তারা বিষয়টি সাধারণভাবেও আলোচনা করেন, বিশেষ ঘটনা বা প্রেক্ষাপট তৈরি হলেও করেন। আমরা মনে করি এই অনুশীলন শুধু মুসলিম আলিম-উলামার মধ্যে সীমিত না রেখে অমুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যেও এর বিস্তার লাভ করা প্রয়োজন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোনো অমুসলিমের মাধ্যমে ইসলাম অবমাননার কোনো ঘটনা ঘটলে ( যেমন "হোলি" ধর্মীয় উৎসবের আড়ালে সাধারণ পথচারী ও হিজাবধারী মুসলিম নারীদের উপর একটি ধর্মের বখাটে যুবকেরা যে নৃশংস যৌন হয়রানী, দুঃসাহসিক অপরাধ করেছে,অন্যায়,অবিচার,কুৎসিত ও পাপকে পেশীশক্তির মাধ্যমে উপস্থাপন করার  ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে) ঐ ধর্মের ধর্মগুরু ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকেও এর প্রতিবাদ হওয়া  উচিত। এই সংস্কৃতিটা এখন গড়ে ওঠা প্রয়োজন।  মসজিদে মসজিদে যদি হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার আলোচনা কাম্য হয়  তাহলে মন্দিরে মন্দিরে, গির্জায় গির্জায় মুসলিম জনগণের ধর্মানুভূতি এবং ধর্মীয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষার আলোচনাও কাম্য। অন্যথায় বিষয়টা একতরফা হয়ে যায়, যা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে অনেক ক্ষেত্রেই যৌক্তিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ