সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

মেঘ ও বৃষ্টি সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আশ্চর্যজনক তথ্য !

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মেঘ-বৃষ্টি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের এক নিয়ামত। এই নেয়ামতের শোকর আদায় করা আমাদের পক্ষে কখনই সম্ভব নয়।

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মত একজন বেদুঈন আরব একটি মরুময় অঞ্চলে থেকে মেঘ সৃষ্টি, বৃষ্টিপাত, বিদ্যুতের ঝলকানি এসব ঘটনা খুব কমই প্রত্যক্ষ করেছেন। আল্লাহ তাআলা মেঘের গঠন ও বৃষ্টিপাত সম্পর্কিত এসব তথ্য তাঁর কাছে নাজিল না করলে তিনি এসবের এমন প্রাণবন্ত বর্ণনা দিতে পারতেন না।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন মাজিদে বলেন-

“তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ মেঘমালাকে পরিচালিত করেন, তারপর তিনি সেগুলোকে একত্রে জুড়ে দেন, তারপর সেগুলো স্ত্তপীকৃত করেন, তারপর তুমি দেখতে পাও তার মধ্য থেকে বৃষ্টি বের হয়। আর তিনি আকাশস্থিত পাহাড় (সদৃশ্য) মেঘমালা থেকে শিলা বর্ষণ করেন, (অথবা মহসিন খানের অনুবাদ মতে : আকাশে শিলার পর্বতমালা রয়েছে)। অতঃপর তা দ্বারা যাকে ইচ্ছে আঘাত করেন। আর যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা সরিয়ে দেন। এর বিদ্যুতের ঝলক দৃষ্টিশক্তি প্রায় কেড়ে নেয়”। (নূর ২৪ : ৪৩)

আল্লাহ আরো বলেন-

“আল্লাহ, যিনি বাতাস প্রেরণ করেন ফলে তা মেঘমালাকে ধাওয়া করে, অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যেমন ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তাকে খন্ড-বিখন্ড করে দেন, ফলে তুমি দেখতে পাও, তার মধ্য থেকে নির্গত হয় বারিধারা। অতঃপর যখন তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের ওপর ইচ্ছা বারি বর্ষণ করেন, তখন তারা হয় আনন্দিত।” (রূম, ৩০ : ৪৮)

আবহাওয়াবিদগণ মেঘের গঠন ও বৃষ্টিপাত সম্পর্কে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি পেয়েছেন।

বাতাস মেঘমালাকে ধাবিত করে যাতে সেগুলি ঘনীভূত হতে শুরু করে।

অতঃপর মেঘগুলি পরস্পর জুড়ে যায় এবং বড় মেঘ তৈরি করে এবং লম্বভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এভাবে মনে হয় যেন সেগুলি স্ত্তপিকৃত।

নবগঠিত মেঘের ওপর অংশে পানির ফোঁটা পুঞ্জিভূত হতে শুরু করে এবং যখন তা খুব ভারী হয়ে যায়, তখন পৃথিবীতে বৃষ্টির আকারে নেমে আসে।

আমাদের উচিত, এই তথ্যটিকে উপরিউক্ত কুরআনের আয়াতের সঙ্গে তুলনা করা এবং এতে যে কেউ এ কথা স্বীকার করতে বাধ্য হবে যে, কেবল আল্লাহ তাআলাই কোরান মাজিদের এই তথ্যের উৎস।

আরআর

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ